সংক্ষিপ্ত

পেটের মেদ বা ভুঁড়ি- যা দিনে দিনে আরও সমস্যা তৈরি করে তারই হাত থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই অনেক কাজ করেন। বিশেষজ্ঞরা একাধিক ব্যায়াম বা হাঁটার পরামর্শ দেন। কিন্তু সময়ের অভাবে বা আলসেমিতে সেসব আর করে ওঠা হয়নি।

পেটের মেদ বা ভুঁড়ি- যা দিনে দিনে আরও সমস্যা তৈরি করে তারই হাত থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই অনেক কাজ করেন। বিশেষজ্ঞরা একাধিক ব্যায়াম বা হাঁটার পরামর্শ দেন। কিন্তু সময়ের অভাবে বা আলসেমিতে সেসব আর করে ওঠা হয়নি। এবার তাদের জন্যই এমন ১০টি টিপস দিচ্ছে যাতে হুড়মুড়িয়ে কমবে আপলার বেলিফ্যাট বা পেটের মেদ। পেটের মেদ থাকলে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ , মিনি মিডি বা জিন্স - যাই পরুন কোনওটাতেই সুন্দর দেখায় না। তাই পেটের মেদ অনেক সময়ই সৌন্দর্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই সকলেই পেটের মেদ কমাতে চান। কিন্তু কঠিন আর কঠোর পরিশ্রমে রাজি নন অনেকেই। ঠিক তাদের জন্যই এই ১০টি টিপস। 


১. ট্রান্সফ্যাট খাবার নয়- মাইক্রোওয়েভের তৈরি পপকর্ন, সাদা রুটি, হাইড্রোজেনেটেড উদ্ভিদজ তেল, মার্জারিন, ভাজা খাবার, কেক, পেস্ট্রি, এজাতীয় খাবারগুলি কেনা একদম বন্ধ করে দিন। এই খাবারগুলিতে ট্রান্সফ্যাট উপাদান থাকে। যা পেটের মেদ বাড়ৃাতে রীতিমত সক্রিয় ভূমিকা নেয়। 

নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। তাতে আপনি সর্বদা হাইড্রেটেড থাকবেন।  প্রচুর পরিমাণে জল খেলে একদিকে খিদে কমে যাবে অন্যদিকে শরীরে জলের চাহিদাও পুরণ হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার জলপান করা জরুরি। 

৩. চিনি সম্পূর্ণরূপে বাদ- ভুলেও চিনি খাবেন না। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণবাদ দিন। পেস্ট্রি কুকিজ একদম বাদ দিন। ক্যান্ডি , চকোলেটও খাওয়া এড়িয়ে চলুন। চিনি বা শর্করা রয়েছে এমন পানীয় ভুলেও পান করবেন না। 

৪. অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার গ্রহণ- দীর্ঘক্ষণ খালিপেটে থাকলে চলবে না।  অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে পেটের চর্বি কমানোর জন্য। সেইগুলি হল রঙিন ফল, শাকসবজে, গাজর, গোলমরিচ, পালং শাক, টমেটো, কুমড়ো, ব্রকলি, পেঁপে,  স্ট্রবেরি, আম, বাদাম আর পেঁয়াজ, বেগুন। 

৫.  অল্প অল্প করে খাবার খান- একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে খাবার খাতে  হয়। তাহলে শরীরে ক্যালরি কম যাবে। একসঙ্গে অনেকটা খাবার শরীরে গেলে সেটি চর্বি তৈরি হয়ে মেদের আকার নিয়ে জমতে শুরু করে। তাই সবসময় ছোট ছোট বাটি বা প্লেটে খাবার নিয়ে খাওয়া অভ্যাস করুন। 

৬. নরম পানীয় বর্জন- কল্ডড্রিক্সং  থেকে মেদ দ্রুত বাড়ে। তাই নরম পানীয় বর্জন করার চেষ্টা করুন। তাতে আদতে লাভবান হবেন আপনি। কোল্ডড্রিঙ্কসের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খতিকর। 


৭. সাদা রুটি বর্জনীয়- প্রাতঃরাশে সাদা রুটে কখনই খাবেন না। বাউনব্রেড খান। কারণ ব্রাউনব্রেডে ক্যালরি কম থাকে। আর ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে।  সম্পূর্ণ উল্টো হল সাদা রুটি। এটি মিহি কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি। পাস্তা, পিজি, ওয়াফেলস, মাফিন এগুলি পরিবার করুন। আটার রুটি কিন্তু ওজন কমাতে ১০০ শতাংশ কার্যকরী। 

প্রোটিন গ্রহণ করুন- গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে প্রটিনজাতীয় খাবার বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। তা ক্যলরি আর চর্বিকে পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই মাছ, ডিম, বাদাম, পনির, টাফু, চিকেন, দুধ, মটরশুঁটি দইজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে পারেন। 

৯. বেশি চিন্তা করবেন না- আপনি অনেক ব্যায়াম করছেন- কিন্তু তাতেও মেদ ঝরছে না- তাহলে বুঝে নিতে হবে চিন্তার কারণে আপনি মোটা হয়ে  যাচ্ছেন। তাই ট্রেস দ্রুত কমানোর ব্যবস্থা করুন। 

১০. ঘুম- ট্রেস কমানোর সবথেকে ভালো উপায় হল ঘুম। প্রয়োজনীয় ঘুম না হলেও পেটের মেদ বৃদ্ধি পায়। তাই প্রাপ্ত বয়স্কদের কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। দিনের থেকে রাতে ঘুমানো বেশি জরুরি।