সংক্ষিপ্ত
দূষণ, ফুসফুসের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই মাইক্রোস্কোপিক কণা শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এমন পরিস্থিতিতে ফুসফুস-সহ শরীরের অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি কীভাবে এড়ানো যায় তা জেনে রাখা দরকার।
দূষণের কণা খুব ছোট, এগুলি আমাদের ফুসফুসের মহা শত্রু এবং এর জন্য অনেক ক্ষতি হয়। দিল্লি-এনসিআরের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত দূষণের সম্মুখীন হচ্ছে। সেখানকার বাতাসের মান খুবই খারাপ হয়ে গেছে। আকাশে কুয়াশা বা ধোঁয়াশার স্তর পড়তে শুরু করেছে।
বাতাসে দ্রবীভূত দূষণের এই ক্ষুদ্র কণাগুলো ফুসফুসের জন্য বিষের মতো। এই কণাগুলো শ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীর ও অন্ত্রে প্রবেশ করে। এমন পরিস্থিতিতে এগুলো শরীরের সমস্ত অংশ যেমন ফুসফুস, কিডনি, লিভার, স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, চুল, ত্বক ইত্যাদিকে প্রভাবিত করে। এদের রক্ষা করা খুবই জরুরী, অন্যথায় স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এখানে সহজ ভাষায়, ধোঁয়াশা কী এবং কীভাবে এটি এড়ানো যায় তা জেনে নিন।
ধোঁয়াশা নতুন প্রজন্মের দ্বারা তৈরি প্রচলিত ভাষায় একে বলা হয় কুয়াশা। আসলে, দূষণের সূক্ষ্ম কণা বায়ুমণ্ডলে আটকে গেলে, বায়ুমণ্ডল কুয়াশার মতো দেখাতে শুরু করে। একেই বলে ধোঁয়াশা। বাজি থেকে নির্গত ধোঁয়া, কয়লা পোড়ানো, খড় পোড়ানো, শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া, যানবাহন থেকে ধোঁয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ধোঁয়াশা হতে পারে। দূষণের ছোট কণাগুলি বায়ুমণ্ডলে তরল বা কঠিন যে কোনও আকারে হতে পারে। এই সূক্ষ্ম কণার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার বা তার কম হতে পারে। তাদের খোলা চোখে দেখা অসম্ভব। যখন এই কণার সংখ্যা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন তারা বায়ুমণ্ডলে ধোঁয়াশা আকারে উপস্থিত হতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে এগুলো আমাদের ফুসফুস, কিডনি, লিভার, চোখ ইত্যাদি সমস্ত অঙ্গের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
এর থেকে রক্ষা পেতে কি করবেন-
১) ধোঁয়াশা থাকলে হাঁটতে বের হবেন না। যদি বাইরে যেতেই হয়, তাহলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন বা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। তবে কাপড়টি দুই স্তরে ব্যবহার করুন।
২) সকালে হাঁটা এড়িয়ে চলুন। যেতে হলেও দেরি করে যান তবে খালি পেটে যাবেন না। এছাড়াও, মুখ এবং নাক ভালভাবে ঢেকে রেখে দিন।
৩) বাইরে যাওয়ার সময় চোখে চশমা পরুন এবং বাইরে থেকে আসার পর ঠান্ডা ও পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ভালো করে পরিষ্কার করুন।
৪) বাড়ির আশেপাশে তুলসী এবং মানি প্ল্যান্ট ইত্যাদি গাছ লাগান যা পরিবেশ বিশুদ্ধ করতে কাজ করে।
৫) শরীরে জলের অভাব যেন না হয় তাই প্রচুর জল পান করুন ও শারীরিক সমস্যা না থাকলে সঙ্গে গুড় খান।
৬) বাড়িতে যোগব্যায়াম বা শরীরচর্চা করুন। এটি আপনার শরীরের সমস্ত অঙ্গে রক্ত সংঞ্চালন অ্যাক্টিভ রাখবে। তবে খোলা জায়গায় ব্যায়াম করবেন না, ঘরের ভিতরেই করুন।
৭) প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং ফল খান, তবে খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন।
৮) আপনি যদি হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী হন, তাহলে বাড়ির বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। যদি কোনও কারণে যেতে হয়, তবে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন এবং ইনহেলার সঙ্গে রাখুন।
৯) পলিথিন, আবর্জনা ইত্যাদি পোড়ানো বন্ধ করুন। বাড়ির চারপাশে আরও বেশি করে গাছ লাগান এবং মানুষকেও গাছ লাগাতে উত্সাহিত করুন।
আরও পড়ুন- Samsung-শীঘ্রই হাতের মুঠোয় আসছে Samsung Galaxy A13,লঞ্চের আগেই ফাঁস হল তথ্য
আরও পড়ুন- Flipkart- দেশে চালু হল Health + program, জেনে নিন কি এই নতুন স্বাস্থ্য পরিষেবা
আরও পড়ুন- ২৫ নভেম্বর লঞ্চ হবে বিশ্বের প্রথম 18GB RAM স্মার্টফোন, জেনে নিন বিশেষত্ব
"