সংক্ষিপ্ত

বয়স তিরিশের কোটায় পা দিতে না দিতেই, বহু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মেয়েরা। ডায়াবেটিস (Diabetes), হার্টের রোগের মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এছাড়াও, দেখা দিচ্ছে নানান জটিলতা। নারী দিবসের প্রাক্কালে টিপস রইল এই সকল মহিলাদের জন্য। স্ট্রেস (Stress) ও মানসিক অবসাদ (Depression) মুক্ত থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা।  

অফিসে অত্যাধিক কাজের চাপ (Work Pressure), বাড়িতে সংসারের চাপ। অন্যদিকে বাচ্চার পড়াশোনা (Education)। এর সঙ্গে দাম্পত্য অশান্তি তো আছেই। এই সব নিয়ে নানারকম দুশ্চিন্তা (Tension) ঘোরে মাথায়। আর এই সকল চিন্তা থেকে দেখা দিচ্ছে মানসিক অবসাদ কিংবা স্ট্রেস। যা প্রভাব ফেলছে শরীরের ওপর। স্ট্রেসের জেড়ে একাধিক রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ডায়াবেটিস (Diabetes), হার্টের রোগের মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এছাড়াও, দেখা দিচ্ছে নানান জটিলতা। বয়স তিরিশের কোটায় পা দিতে না দিতেই, বহু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মেয়েরা। নারী দিবসের প্রাক্কালে টিপস রইল এই সকল মহিলাদের জন্য। স্ট্রেস ও মানসিক অবসাদ মুক্ত থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা।  

সব থেকে বড় স্ট্রেস রিলিফ হল গান। তাই সুযোগ পেলেই গান (Music) শুনুন। কাজের যতই চাপ থাকুন, নিজের জন্য সময় বের করুন। সারাক্ষণ অফিস কিংবা সংসার নিয়ে ভাববেন না। যখনই কোনও দুশ্চিন্তা মাথায় আসবে, গান শুনুন। এমন মন যেমন শান্ত থাকবে, তেমনই সব কাজে উদ্যোগ পাবেন। তাই মানসিক চাপ কমে হাতিয়ার করুন মিউজিক।

গোটা দিনটা কাটে হয়তো ব্যস্ততার মধ্যে। সকালে সংসার সামলে অফিস যান, ফিরে বাচ্চার পড়াশোনা। এই সবের মাঝে নিজের কথা ভাবা সময় নেই। এই সকল চাপের জন্য দেখা দিচ্ছে নানা রকম জটিলতা। তাই রোজ অন্তত ৩০ মিনিট বরাদ্দ করুন নিজের জন্য। শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে মেডিটেশন (Mediation) করুন। চাইলে এক্সারসাইজও করতে পারেন। এতে সকল মানসিক চাপ দূর হবে।  

রান্না করতে অনেকেই পছন্দ করেন। এবার স্ট্রেস মুক্ত থাকতে রান্না করতে পারেন। রান্নার (Cooking) শখ থাকলে নিত্য নতুন আইটেম বানান। দেখবেন মানসিক চাপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন। ইন্টারনেট ঘেঁটে নিত্য নতুন রেসিপি বানান। সম্ভব হলে, কোনও রান্না রিয়েলিটি শো-তে অংশ নিতে পারেন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, তাহলে মানসিক অবসাদ কিংবা স্ট্রেস আপনাকে স্পর্স করতে পারবে না।    

শারীরিক ও মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে চাইলে পুষ্টিকর (Healthy Diet) খাবার খান। নিজের দিকে খেয়াল রাখুন। কাজের চাপে নাওয়া-খাওয়ার সময় হয় না অনেকেরই। দুপুরের খাবার খেতে বিকেল ৪টে বেজে যায়। এমন অনিয়ম করবেন না। সঠিক সময় খাবার খান। মনে রাখবেন, শরীর খারাপ থাকলে, কাজে তার খারাপ প্রভাব পড়বে। 

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। একঘেঁয়ে জীবনের জন্য এমন সমস্যা দেখা দেয়। তাই ছুটির দিনে বন্ধু কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। সব রকম চাপ ভুলে গল্প করুন। দেখবেন মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। 

আরও পড়ুন- হেডফোন ব্যবহারে মেনে চলুন ৭ টোটকা, বিশ্ব শ্রবণ দিবসে রক্ষা করুন শ্রবণ ক্ষমতা

আরও পড়ুন- 'ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে' ঐতিহ্যবাহী উৎসব দোল পূর্ণিমার দিন-ক্ষণ-তিথি এক নজরে

আরও পড়ুন- শিথিল হয়েছে মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম, তবে অসতর্ক হলে ফের আক্রান্ত হতে পারেন ভাইরাসে