সংক্ষিপ্ত

  • শরদ পওয়ার হুমকি দিলেন 'অ্যান্টি ডিফেকশন ল'-এর
  • এই আইনের বলে দলবদলু বিধায়ক বা সাসদরা পদ খোয়ান
  • তবে এই আইনের একটা ফাঁকও আছে
  • তার মধ্য দিয়ে কি গলতে পারবেন অজিতদাদা-পন্থীরা

 

শরদ পওয়ার দাবি করেছেন অজিত পওয়ারের সঙ্গে এনসিপির জনা দশেক বিধায়ক রয়েছেন, বাকিরা তাঁকেই সমর্থন করছেন। তবে যে ১০-১১ জন 'অজিতদাদা'-কে সমর্থন করছেন, তাঁদের কে তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, 'অ্যান্টি ডিফেকশন ল', বলে একটি আইন আছে সেটা যেন তাঁরা মাথায় রাখেন। যদি সত্যি সত্যি তাঁরা পক্ষ বদল করেন, তাহলে সেই আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। চট করে জেনে নেওয়া যাক অ্যান্টি ডিফেকশন ল বা দলত্যাগ বিরোধী আইন কি।

আরও পড়ুন - সরকার তো হল, টিকবে তো, নাকি তড়িঘড়িতে ভুল করে বসল বিজেপি

কবে থেকে এবং কেন এই আইন?

কোনও দলের হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর বিজয়ী বিধায়করা সুবিধামতো যাতে দলবদল না করতে পারেন, সেই জন্যই ১৯৮৫ সালে ভারতে এই আইন চালু করা হয়েছিল। তার আগে ভারত জয়ী বিধায়কদের দলবদল নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট আইন ছিল না। যার সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে ইচ্ছেমতো বিধায়ক বা সাংসদরা দলবদল করতেন।

আরও পড়ুন - মহারাষ্ট্রে সার্জিকাল স্ট্রাইক, নেপথ্য থেকেই খেলা ঘোরালেন অমিত 'চানক্য' শাহ

রেকর্ড করেছিলেন গয়া লাল

উদাহরণ দিতে গেলে পাতা ভরে যাবে। তবে এই বিষয়ে রেকর্ড করেছিলেন গয়া লাল নামে হরিয়ানার এক বিধায়ক। ১৯৬৭ সালে তিনি প্রথমে ইউনাইটেড ফ্রন্ট-এর হয়ে জয়ী হন। তারপর মাত্র ৯ ঘন্টার মধ্যে তিনি প্রথমে ইউনাইটেড ফ্রন্ট ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন, তারপর আবার কংগ্রেস ছেড়ে ইউনাইটেড ফ্রন্ট-এ ফিরে আসেন।      

আরও পড়ুন - পিছন থেকে ছুরি, ভাঙল পরিবারও, রাজনৈতিক উত্তাপে নজর কাড়ছে বোনের অভিমান

কী বলা আছে এই আইনে?

এই আইনের বলে, দলবদল করা বিধায়ক বা সাংসদদের পদ কেড়ে নেওয়া যায়। স্বেচ্ছায় দলের সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়া বা দলীয় নির্দেশ কিংবা হুইপ অগ্রাহ্য করলে এই আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে একটা ফাঁক আছে। যদি কোনও ক্ষেত্রে একসঙ্গে কোনও দলের দুই-তৃতীয়াংশ দলত্যাগ করতে চান সেই ক্ষেত্রে এই আইন বলে তাদের যোগ্যতা কেড়ে নেওয়া যাবে না। আর যে অংশ পুরোনো দলের সঙ্গে রয়ে যাবেন, তাঁদের বিজয়ী পদও সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন - বিধায়কদের সমর্থনপত্রের চূড়ান্ত অপব্যবহার, কোন কৌশলে দাঁও মাড়লেন অজিত পওয়ার

মহারাষ্ট্রে কী অবস্থা?

মহারাষ্ট্রের বর্তমান বিধানসভায় এনসিপি ৫৪টি আসন জিতেছে। অজিত পওয়ার ঘনিষ্ঠদের দাবি 'অজিতদাদা'র সঙ্গে এনসিপির ৩৩জন এমএলএ রয়েছেন। এদিকে শরদ পওয়ারের মতে ১০-১১ জন তাকতে পারেন অজিতের সঙ্গে, তাঁরাও একে একে তাঁর দিকেই ফিরে আসছেন। যে দাবিই সত্যি হোক, দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু অজিতপন্থী বিধায়কদের পদ খোয়ানোর আশঙ্কা থাকছে। দলত্যাগ বিরোধী আইনের হাত থেকে বাঁচতে গেলে ৫৪-র দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ অন্তত ৩৬জনের সমর্থন জোগার করতেই হবে অজিত পওয়ারকে।

দেখুন ভিডিও - সব হিসেব উল্টে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ফড়নবীশ

দেখুন ভিডিও - দরকার নেই 'খিচুড়ি' সরকারের, মসনদে বসেই শিবসেনাকে তোপ ফড়নবীশের

দেখুন ভিডিও - বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ারের ভাইপো, দরকার স্থায়ী সরকার, সাফাই অজিতের