সংক্ষিপ্ত

  • মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল বেরিয়েছিল ২৪ অক্টোবর
  • প্রায় একমাস পর সরকার গঠন করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ
  • কিন্তু এই সরকার টিকবে কি
  • নাকি বিজেপি এতদিন অপেক্ষা করে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিল

 

মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল বের হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। অবশেষে ২৩ নভেম্বর শনিবার সকালে অজিত পওয়ারের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গঠন তো হল, কিন্তু এই সরকার টিকবে কি? বিজেপি কি এতদিন অপেক্ষা করে ভুল সিদ্ধান্তই নিল? মহারাষ্ট্র কি সরকার গঠন নিয়ে যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই ফিরে যাবে? এই প্রশ্নগুলো উঠছে।

আরও পড়ুন - মহারাষ্ট্রে সার্জিকাল স্ট্রাইক, নেপথ্য থেকেই খেলা ঘোরালেন অমিত 'চানক্য' শাহ

কার কত আসন রয়েছে?

প্রথমেই একবার ফিরে দেখা যাক মহারাষ্ট্রে কার হাতে কত আসন রয়েছে। বিজেপি পেয়েছিল ১০৫টি আসন, শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪, কংগ্রেস ৪৪, এছাড়া ছোট দল ও নির্দলরা পেয়েছিল বাকি ২৯টি আসন।

আরও পড়ুন - পিছন থেকে ছুরি, ভাঙল পরিবারও, রাজনৈতিক উত্তাপে নজর কাড়ছে বোনের অভিমান

কতজনের সমর্থনে সরকার গড়া হল?

এদিন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারিকে সরকার গড়ার যে দাবিপত্র পেশ করেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, তাতে ১৭৪ জন বিধায়কের সমর্থন দাবি করা হয়েছে। এরমধ্যে বিজেপির ১০৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। ছোটদল ও নির্দল মিলিয়ে আরও ১৫জন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। সেই সঙ্গে এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের সই করা সমর্থনপত্র দেওয়া হয়েছে। সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ১৪৫। অর্থাৎ, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের হাতে যথেষ্ট ভালো সমর্থন রয়েছে।

আরও পড়ুন - বিধায়কদের সমর্থনপত্রের চূড়ান্ত অপব্যবহার, কোন কৌশলে দাঁও মাড়লেন অজিত পওয়ার

তাহলে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা হল দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে বিধানসভায় তার সরকারের শক্তি প্রদর্শন করতে হবে।  এনসিপির ৫৪ জনের সমর্থন কাগজে থাকলেও আদতে কতজন এনসিপি বিধায়ক বিজেপি সরকারকে সমর্থন করবেন তাই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ এনসিপি বিধায়করা আগেই ওই সমর্থনপত্রে সই করে রেখেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর জায়গাটা ফাঁকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই ফড়নবিশের নাম বসিয়ে অজিত পওয়ার এনসিপি বিধায়কদের অজান্তেই বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এখন অজিতের সঙ্গে কতজন বিধায়ক আছেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

আরও পড়ুন - 'অ্যান্টি ডিফেকশন ল' কী, পওয়ার-হুমকি ফাঁকা আওয়াজ না সত্যিই খাদের মুখে 'দাদাপন্থী'রা

অজিতের হাতে কতজন বিধায়ক?

শরদ পওয়ার প্রথমে দাবি করেছিলেন এনসিপির কোনও বিধায়ককে না জানিয়ে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অজিত পওয়ার এই কাজ করেছেন। পরে অবশ্য বিধায়কদের 'ডিফ্যাকশন রুল'-এর ভয় দেখিয়েছেন। কাজেই কোনও এনসিপি বিধায়কই যে অজিতের সঙ্গে নেই, এটা মানা যাচ্ছে না। বস্তুত একটি সূত্রের দাবি অজিত পওয়ারের হাতে অন্তত ৩৩ জন এনসিপি বিধায়ক আছেন।

আরও পড়ুন - একরাতে 'মুখ্যমন্ত্রী বদল', কীভাবে সরকার গঠন মহারাষ্ট্রে, দেখুন তার সময় সারণী 

তাহলে কি বিজেপি সরকার টিকবে?

অজিত পওয়ারের হাতে যদি ৩৩ জন বিধায়ক থাকে, সেই ক্ষেত্রে বিধানসবায় ফড়নবিশ সরকারে শক্তি গিয়ে দাঁড়াবে ১৫৩। অর্থাৎ ম্যাজিক সংখ্যা তাঁর পক্ষে থাকবে। তবে তার পরেও সরকারে স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। কিন্তু, সংখ্যাটা আরও কম হলে কিন্তু আস্থা ভোটে হেরে যাবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

আরও পড়ুন - একরাতে 'মুখ্যমন্ত্রী বদল', কীভাবে সরকার গঠন মহারাষ্ট্রে, দেখুন তার সময় সারণী

শরদ পওয়ারের দাবি

শরদ পওয়ার দাবি করেছেন অজিত পওয়ারের সঙ্গে রাজভবনে ১০-১১ জন বিধায়কের বেশি ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে ৩জন অবশ্য ফিরে এসে শরদ পওয়ারকেই সমর্থন করেছেন। তাঁদের দাবি, কি হচ্ছে কিছু না জানিয়েই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

দেখুন ভিডিও - সব হিসেব উল্টে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ফড়নবীশ

দেখুন ভিডিও - বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ারের ভাইপো, দরকার স্থায়ী সরকার, সাফাই অজিতের

দেখুন ভিডিও - দরকার নেই 'খিচুড়ি' সরকারের, মসনদে বসেই শিবসেনাকে তোপ ফড়নবীশের