Pakistan Flood: টানা বৃষ্টির পর পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওয়াঘা জয়েন্ট চেকপোস্টের পাকিস্তানি অংশে এক হাঁটু জল। অন্যদিকে ভারতীয় সীমান্তে ঝকঝকে পরিষ্কার।
Pakistan Flood News: সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ভারত পাকিস্তান ওয়াঘা সীমান্তে দুই বিপরীত ছবি। ভারতের দিকে ঝকঝকে রাস্তা, সেখানে কোনও জল নেই। অন্যদিকে, পাকিস্তানের দিকে হাঁটুজল। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই আন্তর্জাতিক স্তরে লজ্জায় পড়েছে পাকিস্তান।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওয়াঘা জয়েন্ট চেকপোস্টের পাকিস্তানি অংশে, যেখানে প্রতিদিন পতাকা উত্তোলন ও নামানোর অনুষ্ঠান হয়, সেই প্যারেড এলাকাটি কাদাজলে ডুবে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।
পাকিস্তান নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এবার আঙুল তুলেছে ভারতের দিকে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো, তার কারণ বা কি হতে পারে?
ওয়াকিবহাল মহলের খবর, সম্প্রতি ওয়াঘা সীমান্তে দেখা গেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাঁটু পর্যন্ত জল ঠেলে কুচকাওয়াজ করার দৃশ্য। অন্যদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) তাদের দিকে শুকনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবেই কুচকাওয়াজ চালিয়েছে। এই ভিডিও সামনে আসার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভারত তাদের দিকে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের (GT Road) উচ্চতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেই কারণেই জল জমেছে তাদের অংশে।
কিন্তু আসল সত্যিটা অন্য। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। তাদের দুর্বল পরিকাঠামো এই বন্যার জল সামলাতে পারছে না। ওয়াঘা সীমান্তেও একই অবস্থা। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সেখানে কোনও রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং বা জল নিকাশির ব্যবস্থা নেই। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই কাদামাটি ও জল জমতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাক রেঞ্জার্সরা বালির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করে।
পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের আইজি অতুল ফুলজেলে জানিয়েছেন, ৮-৯ আগস্ট পাঞ্জাব অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছিল। সম্ভবত সেই সময়েরই ভিডিও এটি। তিনি এও জানান, ওয়াঘা-আটারি, হুসেনিওয়ালা এবং সাদকি- এই তিন জায়গার কোথাও জল জমেনি।
পাকিস্তানের এই দৃশ্য তাদের দুর্বল পরিকাঠামোর দিকেই ইঙ্গিত করে। বন্যার জল রাভি নদী উপচে পাকিস্তানের নারোয়াল জেলার কর্তারপুর করিডোরেও ঢুকে পড়েছে। গুরুদ্বার দরবার সাহেবের প্রাঙ্গণে জল প্রবেশ করলেও, দিল্লি সরকারের মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা নিশ্চিত করেছেন যে পবিত্র গ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহেবের কোনও ক্ষতি হয়নি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বন্যা কবলিত এলাকা থেকে তীর্থযাত্রী ও স্থানীয়দের উদ্ধার করতে বড় আকারের অভিযান শুরু করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


