Pakistan News: ভারতের জল দেওয়া স্থগিতের সিদ্ধান্তে অথৈ জলে ২৪ কোটি পাকিস্তানি। চন্দ্রভাগা নদীতে কমছে জলপ্রবাহের পরিমাণ। অদূরে অস্তিত্ব সংঙ্কটে ভুগবে পাকিস্তান? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। জানুন বিশদে…

Pakistan News: গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই একেবারে তলানিতে ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক। স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারতের জলচুক্তি স্থগিতের সিন্ধান্তে পাকিস্তানের জলসঙ্কট যে চরমে উঠবে সেই আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার মিলল হাতে গরম প্রমাণ। খোদ সেদেশের রিপোর্টই জানাচ্ছে যে, ভারতের এই সিদ্ধান্তে চন্দ্রভাগা নদী দিয়ে কমেছে জলের প্রবাহ। এমনটাই দাবি পাকিস্তানের জল এবং বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (Pakistan News)।

সূত্রের খবর, পাক জল এবং বিদ্যুৎ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে চন্দ্রভাগা নদীর জলপ্রবাহ নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে একেবারে চাঞ্চল্যকর দাবি। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে কমছে চন্দ্রভাগা নদীর জলের প্রবাহ। বৃহস্পতিবার ভারতের মারালার দিকে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ হয়েছে মাত্র ৯৮ হাজার ২০০ কিউসেক। শুক্রবার সেই জলপ্রবাহের পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার ৮০০ কিউসেক। এবং শনিবাার অর্থাৎ গতকাল(31 May 2025) সেই প্রবাহের মাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২০০ কিউসেক হয়। যারফলে বলা বাহুল্য গত দু-দিনে চন্দ্রভাগা নদী দিয়ে জলপ্রবাহের মাত্রা কমেছে প্রায় ৯১ হাজার কিউসেক। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

এই বিষয়ে পাক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতের জল আটকানো নিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ পাকিস্তান। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সেদেশের পাঞ্জাব প্রদেশের সেচ বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তিনি বলেন, ''ওরা চন্দ্রভাগা নদীতে জলপ্রবাহ আটকে দিয়েছে। বর্তমানে তারা সেই জল তাদের বিভিন্ন বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে মজুত করছে। ওরা আমাদের জল ব্যবহার করছে। এটা অন্যায়। ভারত এটা করতে পারে না।'' যদিও এই বিষয়ে আগেই আন্তর্জাতিক মহলে নালিশ ঠুঁকেছে পাকিস্তান। তাতেও অবশ্য সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। আর এবার প্রকাশ্যে এলো জল ছাড়া পাকিস্তানের দুর্দশার রিপোর্ট।

এদিকে ভারতের চন্দ্রভাগা অববাহিকায় ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জলবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল- পাকাল দুল বাঁধ। এই বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ৮৮ হাজার একর ফুট। রামবনের বগলিহার বাঁধ। এটি পাকাল দুল বাঁধ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। এতে ৩ লক্ষ ২১ হাজার একর-ফুট জলধারণের জায়গা রয়েছে। এবং এই বাঁধের জল থেকে ৯০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে। আর বগলিহার থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভারতের সালাল বাঁধ। এই বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা প্রায় ২ লক্ষ ২৮ হাজার একর-ফুট। আর এভাবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে চন্দ্রভাগা নদীর জল ব্যবহার করা নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই অস্তিত্ব সংঙ্কটে ভুগছে ২৪ কোটি পাকিস্তানি। আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে ইতিমধ্যে বিদেশ সফরে কেন্দ্রের সর্বদলীয় সাংসদদের আটটি দল। জাপান-কোরিয়া থেকে সিঙ্গাপুর বিভিন্ন দেশে সফর করছে দলগুলো। তাঁরাই গোটা বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের আসল স্বরূপ তুলে ধরছে। দিন দিন কীভাবে পকিস্তান জঙ্গিদের মদত দিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বারে বারে উঠে এসেছে জঙ্গিযোগের প্রমাণ। এবার খোদ জঙ্গিদের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গেল পাকিস্তানের মন্ত্রীর। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রকাশ্যে মিলল পাকিস্তানের জঙ্গি মদত দেওয়ার একেবারে গরম প্রমাণ। একই মঞ্চে পাক মন্ত্রীদের সঙ্গে খোশমেজাজে বসে থাকতে দেখা গেল লস্কর ই তৈবার শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ববদের। এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানের ভূমি রক্ষায় তাদের অবদানকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন পাক মন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, বুধবার ইয়ুম-ই-তকবিরের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়, জঙ্গিদের সহ্গে একই মঞ্চে পাকিস্তানের মন্ত্রীদের। মঞ্চে ছিলেন পাকিস্তানের খাদ্যমন্ত্রী মালিক রশিদ আহমেদ খান এবং পাঞ্জাব প্রদেশের স্পিকার মালিক মুহম্মদ আহমেদ খান। সূত্রের খবর, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দু’জনেই। ওই মঞ্চেই দেখা যায়, লস্কর নেতা হাফিজ সইদের পুত্র তালহা সইদ, সইফুল্লা কাসুরি, আমির হামজার মতো লস্কর জঙ্গি। একেবারে মন্ত্রীদের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই জঙ্গিদের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।