সংক্ষিপ্ত
ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোমের চাকরিতে আবেদন শিবপুরের স্বর্ণালি সামন্তের। ইতিহাস নিয়ে পড়ে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া সত্বেও শিবপুরের স্বর্ণালি সামন্ত এখন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ডোমপদের পদপার্থী।
ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোমের চাকরিতে আবেদন শিবপুরের স্বর্ণালি সামন্তের। ইতিহাস নিয়ে পড়ে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া সত্বেও শিবপুরের স্বর্ণালি সামন্ত এখন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ডোমপদের পদপার্থী। এদিকে যে চাকরীর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। আর এই ঘটনায় প্রকাশ্য়ে এসেছে বাংলার কর্ম সংস্থানের বর্তমান অবস্থা।
আরও পড়ুন, জলে ডুবে কলকাতা সহ বাংলার একাধিক জেলা, আজও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সবাই যতটা অবাক হয়েছে, শিবপুরের স্বর্ণালি সামন্ত মোটেই ততটা নন। এক সন্তানের মা স্বর্ণালী স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁদের চাকরি নেই, তাঁদের তো চাকরি দরকার। সেটা যেই পদই হোক না কেন। কাজের কোনও ছোট বড় হয় না বলেও মন্তব্য তাঁর। জানা গিয়েছে, খুব কম বয়েসে বিয়ে করেন স্বর্ণালী। তবে তার পরেও পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যান। সরকারি চাকরি প্রচুর চেষ্টাতেও আশানুরূপ ফল মেলেনি। এরপর বাধ্য হয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় রিসেপশানিস্টের কাজে যোগ দেন। স্বামী দেবব্রত উবের বাইক চালান। কিন্তু কোভিডের ঢেউয়ে-লকডাউনে খুবই খারাপ অবস্থার মুখোমুখী স্বর্ণালীর সংসার। তারপরেই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ডোমপদে চাকরির আবেদন করেন তিনি।
"
আরও পড়ুন, Newtown Porn Case: মেয়েদেরকে মডেল শুটের টোপ দিত শৌভিকই, নিউটাউন পর্ণকাণ্ডে ধৃত আরও ১
প্রসঙ্গত, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে ওই উক্ত পদের নাম ল্যাব অ্য়াটেনড্যান্ট বা পরীক্ষাগার সহকারী। এনআরএসের তরফে ২০২০ সালে দেওয়া হয়েছিল এই বিজ্ঞাপণ। নেটমাধ্যমে ওই বিজ্ঞাপণই চোখে পড়ে শিবপুরের স্বর্ণালীর। তারপরেই তিনি ওই পদে আবদেন করেন। স্বর্ণালি বলেছেন, আমি ফেসবুকে এনআরএস-র ওই বিজ্ঞাপণটা দেখেই সিভি, শংসাপত্র এবং মার্কশিট সহ নির্দিষ্ট ঠিকানায় আবেদন করি।ওখান থেকে অ্যাডমিট পাঠানো হয় ফ্রেবুয়ারিতে। ২১ মার্চ পরীক্ষা ছিল। পরে পরীক্ষা পিছিয়ে চলে যায় অগাস্টে।'
আরও পড়ুন, Flood Situation: ৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখতে চিঠি রাজ্যের, মমতার দাবি মানতে নারাজ DVC
তবে ওই পদটি যে আসলে ডোম পদ তা ল্যাব অ্য়াটেনড্যান্ট নাম থেকে প্রথমে তিনি জানতে পারেননি। পরে বিষয়টা স্পষ্ট হলেও তিনি ওই পরীক্ষা থেকে পিছিয়ে আসেনি। স্বর্ণালি জানিয়েছেন আমার একটা নিরাপদ চাকরির খুব প্রয়োজন। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, আয়া -মেয়েরা হতে পারলে ডোমের কাজ করা থেকেই পিছিয়ে আসব কেন',বলে প্রশ্ন তুলেছেন স্বর্ণালি।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস