সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের কোপে জেরবার রাজ্যের ট্য়াক্সি সংগঠন
- 'অনেক গাড়ির মালিক ড্রাইভার সুইসাইড করতে বাধ্য হবে'
- জানালেন রাজ্যের ট্য়াক্সি সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তন্ময় কুন্ডু
- ট্য়াক্স মুকুব সহ একধিক অনুরোধ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
দীর্ঘ লকডাউনের কোপে জেরবার রাজ্যের সরকারি দফতরের গাড়ি চালকদের। মাসের মাসের পর মাস রোজগার নেই। যা টাকা উপার্জন হয়, তাতে সংসার চলা তো দূরে কথা, নিজের টুকুও চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এরকম চলতে থাকলে 'অনেক গাড়ির মালিক ড্রাইভার সুইসাইড করতে বাধ্য হবে', জানালেন রাজ্যের ট্য়াক্সি সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তন্ময় কুন্ডু। এবং পাশপাশি বিস্তারিত পরিস্থিতি কথা জানিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি, ট্য়াক্স মুকুব সহ লম্বা চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে।
আরও পড়ুন, কঙ্গনাকে নিয়ে শিবসেনা সাংসদকে হুমকি ফোন, গ্রেফতার কলকাতার জিম ট্রেনার
দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল রাজ্য়ের সরকারি দফতর। তারপর আনলক ওয়ান থেকে এই অবধি যাওবা অফিস খুলেছে, তাও তেমন রাজ্যের সরকারি দফতরের গাড়ি চলেনি। কারন করোনা আবহে উপস্থিতির হার কমতে রোজগার তলানিতে গিয়ে পড়েছে সরকারি দফতরের গাড়ি চালকদের। রাজ্যের ট্য়াক্সি সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক তন্ময় কুন্ডু জানিয়েছেন, 'শেষ ১২ বছর আমাদের কোনও ভাড়া বাড়েনি। লকডাউনে বেশিরভাগ অফিস কম খোলার জন্য আমাদের গাড়ি বেশি চলেনি। এবার আর সত্য়িই পারা যাচ্ছে না। তীব্র অর্থ কষ্টে ভুগছি। ৪৭৫ টাকা 'নো ওয়ারক ,নো পে বেসিস' , সেই টাকাটাও আমরা পাচ্ছি না।সারা মাসে খুব জোর ১০৫০০ টাকা হয়। অফিস ও অফিসারেরা আমাদের আগেকার টাকা ও দিচ্ছে না। টাকা আটকে রেখেছে । এদিকে ইন্সুরেন্স ফিস শুরু করে সব কিছুই অনেক টাকা করে বেড়ে গেছে। একটা ড্রাইভারকে রোজ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মুজুরী দিতে হয়। এর ওপর গাড়ির ফাইন্যান্স আছে , গাড়ি ভাড়া না বৃদ্ধি হলে,আমাদের জীবন নির্বাহ করা আর সম্ভব হবে না , আমরা খুবই আর্থিক সমস্যাই আছি , আপনি আমাদের ব্যাপারটা একটু দেখলে খুব ভাল হয়' কাতর আর্জি জানালেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীকে যুগ্ম সম্পাদক তন্ময় কুন্ডু।
আরও পড়ুন, 'নিট' পরীক্ষার্থীদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ রাজ্য়ে, রয়েছে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থাও
অপরদিকে, তিনি আরও জানিয়েছেন,' সারা বাংলাতে প্রায় ৪০ হাজার কমার্শিয়াল গাড়ি চলে। গাড়ির মালিক, ড্রাইভার, তাঁদের পরিবার মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ লোক এই ব্যবসার ওপর নির্ভর করে সংসার চালায়। ' এই পরিস্থিতিতে বিষয়টিতে যত দ্রুত সম্ভব আলোকপাত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি। পাশপাশি 'দৈনিক নুন্যতম ১২০০ টাকা ভাড়া, লকডাউন চলাকালীন প্রাপ্য় নুন্য়তম ভাড়া সহ ট্য়াক্স, পরামিট, ফিটনেস অন্তত ১ বছরেরে জন্য মুকুব', করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ গোপন, কলকাতার ৬ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা স্বাস্থ্য কমিশনের
কোভিড আক্রান্তের ফ্ল্য়াটে ঝুলল তালা, বিপাকে পরিবার, রইল করোনা ক্রাইমের সাতকাহন
কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী
ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা