ফের অঘটন, দক্ষিণ চীন সাগরে তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার

 দক্ষিণ চীন সাগরে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজ থেকে নিখোঁজ বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার। বছর পঞ্চাশের সম্বিত মজুমদার।  সম্বিত মজুমদার নামে বছর পঞ্চাশের পেশায় ওই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার থাকে বাঁশদ্রোণীতে।  মাঝ সমুদ্র থেকে কীভাবে একজন নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন,প্রশ্ন করেও উত্তর পাননি সম্বিতবাবুর স্ত্রী জয়িতা ।

পঁচিশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সম্বিত ছিলেন লাইবেরিয়ায় জাহাজ এমটি সেরেঙ্গেটি-র সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে জাহাজটি রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে। সমুদ্রের মাঝে একটি জাহাজ থেকে কীভাবে তার সেকেন্ড  ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ হয়ে গেল সেটা ভেবে পাচ্ছে না তাঁর পরিবার। তারা এখন জাহাজের কর্মীদের দায়ি করছেন। তাঁর স্ত্রী জয়িতা জানিয়েছেন, গত ৪ ফেবব্রুয়ারি  কলকাতা ছাড়েন সম্বিত। শেষ বার যখন স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল, তাঁর কথাবার্তা তখন একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। কোনও সমস্যার কথাও জানাননি সম্বিত। স্বামীই তাঁকে জানিয়েছিলেন, আগামী ২৩ জুন তেল নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ডায়সান বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল জাহাজটির। তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করবেন। কিন্তু মাঝ সমুদ্র থেকে কীভাবে একজন নিখোঁজ হয়ে যেতে পারেন। ওদের কাছ থেকে আমি একটা লিখিত বিবৃতি চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট ফোনে সম্বিতের কোনও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য ডায়নাকন সংস্থার কাছে অনুরোধ রেখেছিলেন তিনি, কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। ‌

জয়তী আরও জানিয়েছেন,'ডায়নাকন আমায় জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ (‌স্থানীয় সময় অনুযায়ী)‌ খাবার খেতে এসেছিলেন সম্বিত। খাবার খেয়ে সোজা নিজের কেবিনে চলে যান। পরদিন ব্রেকফাস্টের সময় থেকেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। যদিও তাই হয়, তাহলে মাঝ সমুদ্র থেকে কি আমার স্বামী উধাও হয়ে গেল'। অপরদিকে, জাহাজের ক্রুদের দাবি, বুধবার তাঁরা সম্বিতকে তাঁর কেবিনে দেখেছেন কিন্তু তিনি প্রাতঃরাশ করতে আসেননি। সকাল দশটায় তাঁর কোনও খবর না মেলায় জাহাজে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। তাঁর ফোনটি তাঁর কেবিনে থাকলেও সম্বিতের কোনও খোঁজ মেলেনি।