সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘ ৩ বছরের আন্দোলনের ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সব রাজ্য সরকারি চাকরি নিয়োগের আগে লিখিত বাংলা ভাষা পরীক্ষা পাশ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে, দাবি বাংলাপক্ষের।
দীর্ঘ তিন বছরের আন্দোলনের ফলে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ। দলের তরফে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন, ৩ ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কার, 'গো ব্যাক ভিসি', আন্দোলনের পারদ চড়ছে বিশ্বভারতীতে
গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার (WBSEDCL) উচ্চ বেতনের চাকরিতে বহিরাগতদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবাদ আন্দোলন করে আসছি। অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে আমরা পরীক্ষায় বাংলা ভাষায় লিখিত ও মৌখিকের দাবি করেছিলাম।সম্প্রতি সংস্থার চাকুরির বিজ্ঞাপনে আমরা লক্ষ্য করি ৫ নম্বর বাংলা ভাষার লিখিত ও ১৫ নম্বর মৌখিক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।এরফলে বাংলা ভূমিসন্তানরা চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবে বলেই আমরা আশা করছি। সেই সঙ্গে পরবর্তীকালে ২৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন, বর্ধমানের কারখানায় ভিনরাজ্যের কর্মী, বাঙালির কাজের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ 'বাংলা পক্ষ'-র
তিনি আরও বলেছেন,'বাংলা পক্ষের দাবি মেনে নিয়োগ পদ্ধতিতে বাংলা ভাষাকে যুক্ত করার জন্য বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, মাননীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অভিনন্দন জানাই সংস্থার সেই সকল কর্মীদের যাঁরা প্রথম থেকেই আমাদের দাবির সপক্ষে নিজ দপ্তরে সক্রিয় ছিলেন। "বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই - এটা বাংলায় সব বেসরকারি-সরকারি সংস্থার মত বিদ্যুৎ দফতরেও বাস্তব ছিল। এবার থেকে বাঙালি লড়াই করে নিজ রাজ্যে অধিকার বুঝে নিতে লিখছে বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে । সব রাজ্য সরকারি চাকরি নিয়োগের আগে লিখিত বাংলা ভাষা পরীক্ষা পাশ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্য সব রাজ্যে যে নিয়ম স্বাভাবিক, তা এখানেও সর্বক্ষেত্রে চাই। বাংলা ধর্মশালা নয়।'
"
আরও পড়ুন, কাঁকুড়গাছিতে নিহত BJP কর্মীর বাড়িতে CBI, 'হোমিসাইড' নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিল পরিবার
কৌশিক মাইতি জানান, 'এই দাবিতে দীর্ঘ লড়াই হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর বাংলা পক্ষর উত্তর চব্বিশ পরগনা সাংগঠনিক জেলার আছে। এই জেলার সহযোদ্ধারা এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রত্যেক সহযোদ্ধা, সমর্থক ও যারা এই দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছে, সকলকে রক্তজবা শুভেচ্ছা। আমরা বাঙালির চাকরির স্বার্থে একটি ভাবেই লড়াই চালিয়ে যাবো। বাঙালি হাসলেই আমাদের শান্তি। মাননীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।জয় বাংলা।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস