সংক্ষিপ্ত
গভীর রাতে কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ক্যানিংয়ের গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল সভাপতির। ক্যানিংয়ে তৃণমূলের নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শাসকদলকেই উল্টে দায়ী করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ক্যানিংয়ে তৃণমূলের নেতার (TMC Leader) মৃত্যুর ঘটনায় শাসকদলকেই উল্টে দায়ী করলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, রবিবারের আলোর ফোটার আগেই গভীর রাতে কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ক্যানিংয়ের (Canning Shootout incident)গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল সভাপতির। আর এরপরেই এখনও অবধি ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৮ জনকে আটক করেছেন ক্যানিং থানার পুলিশ। এদিকে রাজ্যের শাসকদলকেই এই ঘটনায় দায়ী করেছেন দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'ওখানে বিরোধী বলে কিছু আছে কি। আর তৃণমূলের নিজেদের মধ্য়ে গোলাগুলির ঘটনা চলাটা নতুন কিছু নয়। ওদের সব স্তরের নেতারই ভাগবাটোয়ার ব্যাপারে কাটমানি ব্যাপারে কম বেশি হলেই গুলি দিয়েই ফয়সলা করেন। পুলিশও কিছু নয়, প্রশাসনও কিছু নয়। পার্টিরও কেউ কিছু মানে না। পশ্চিমবঙ্গে এই হিংসার রাজনীতিই চলছে। অপরাধীরা তৃণমূলে ঢুকে পুরো সমাজে হিংসা ছড়িয়ে যাচ্ছে।' প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাড়ির সামনেই কার্যত মহরম শেখ দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে জানা যায়।প্রত্যক্ষ দর্শীদের দাবি বাড়ির সামনেই বসে ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। আচমকাই একটি অটো দ্রুত গতিতে এসে তার সামনে থামে। চলে গুলি। অটোয় চার জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাদের মধ্যে তিন জনকে মিয়ারুল, হাফিজুল ও রফিক বলে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনিও। জানা গিয়েছে, দুটি গুলি লাগে মহরমের শরীরে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ অবধি গভীর রাতে এসএসকেম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ক্যানিংয়ের গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল সভাপতির।
আরও পড়ুন, Farm Law:'এটা তোমাদেরই জয়', কৃষি আইন বাতিল ঘোষণার পরেই কৃষকদের শুভেচ্ছা, BJP-কে তোপ মমতার
অপরদিকে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সভায় হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তিনি সেখানে কোনও সমস্যা দেখতে পাননি। সেখানে সবাই গান গাইছিলেন। তিনি আরও বলেন, পাশ দিয়ে মাইক নিয়ে গেলে এবং বাইক গেলে সমস্যা হয় তাঁদের বলে দাবি করেছে অন্যরা। দিলীপ দাবি করেছে, এখানে তো সবদিক দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্যা করছে, বিজেপিকে সভা করতে দিচ্ছে না। মাইকের তার কেটে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। ত্রিপুরায় তৃণমূলকে পাত্তা দেয় না। চারজন মিলে রাস্তার ধারে বসে গান গাইছিলেন। কে দেখতে যাবে, কে শুনতে যাবে, কে চেনে ওদেরকে। এত দাম বাড়াবার দরকার নেই বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ। যদিও ত্রিপুরা থেকে ফিরেই এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'আমি ছিলাম ওই মিটিংটাতে। লাইটের তার, মাইকের তার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশে একটা ডিজে এনে বাজানো হলো। হামলার সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশকেও ধাক্কা মারে বিজেপির লোকজন। তার মধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়েছে', বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে