সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির 'অবনতি'
- ভিডিও বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের
- প্রশ্ন তুললেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে
- মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব তলব
চোপড়ায় ছাত্রী মৃত্যুকাণ্ডে যখন রাজনীতির পারদ চড়ছে, ঠিক তখনই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। জরুরি ভিত্তিতে জবাব তলব করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
আরও পড়ুন: করোনা-আমফান নিয়ে প্রশ্নে জর্জরিত দল, ২১-র গদিতে ফিরতে আজ তড়িঘড়ি বৈঠক মমতার
রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বসলাম এলাকায় উদ্ধার হয় এক কিশোরীর নিথর দেহ। এ বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল সে। পরিবারের লোকেদের দাবি, রাতে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। ধর্ষণ করার পর তাকে খুন করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারী-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
চোপড়ায় ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। রায়গঞ্জে দলের কার্যালয়ে সামনে অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে চলছিল ধরনা। বুধবার দুপুরে ধর্ণামঞ্চে যান বিজেপি নেতার রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগে, বিনা প্ররোচনায় পার্টি অফিসে ঢুকে কার্যত হামলা চালান মহিলা পুলিশকর্মীরা। জোর করে টেনে বের করে আনা হয় দলের মহিলা কর্মীদের, ভেঙে দেওয়া হয় ধর্ণামঞ্চও। গ্রেফতার করা হয় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায়। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: 'এলাকায় পেলে অর্ধেক চুল কামিয়ে দেওয়া হবে', রাহুল সিনহাকে বেনজির আক্রমণ অনুব্রতের
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশের ভূমিকায় এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার ভিডিও-সহ টুইট করে তিনি বলেন, 'বিরোধী নেতা-নেত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের উপর যেভাবে পুলিশ জুলুমবাজি চালাচ্ছে তা মানা যায় না। পুলিশ কার্যত শাসক দলের কর্মীদের মতো আচরণ করছে। গণতন্ত্রে এ জিনিস বরদাস্ত করা হবে না।' রাজ্যপালের আরও বক্তব্য, 'রাজ্যের ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছি। তাঁর কাছ থেকে সরাসরি শুনতে চাই।'