সংক্ষিপ্ত
- ফের এক অমানিবকতার ছবি উঠে আসল খাস কলকাতার বুকে
- ভাড়াটিয়া স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় করোনা আতঙ্কে বাড়িওয়ালা
- আর সেই আশঙ্কাতেই বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল
- ঝড়-বৃষ্টির মধ্য়েই খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতে দিন কাটছে ওই দম্পতির
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত সদ্য়োজাতের মা-বাবা, মাত্র ২১ দিনেই নবজাতককে দেখতে হল কঠোর পৃথিবী
জানা গিয়েছে, ভাড়াটিয়ার নাম সঞ্জয় শীল। পেশায় তিনি এক অক্সিজেন ডিস্ট্রিবিউটরের কর্মী। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল অক্সিজেন সরবরাহ করাই তাঁর কাজ। সেখান থেকে মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। স্ত্রী অপর্ণা শীল ওই অফিসে ছোট খাটো কাজ করে। ওই দম্পতির দাবি, সরকারের জানানো স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সব কাজ করছেন ওরা। প্রায় চার বছর হল ওরা শৈলেন দাসের বাড়িতে ভাড়ায় এসেছেন। মাসিক ভাড়া দেড় হাজার টাকা। নিঃসন্তান দম্পতির বেশ কাটছিল। সারাদিনের পরিশ্রমের পর শান্তি ছিল তাদের ছোট্ট সংসারে। কিন্তু করোনার কোপে তাও বাদ গেল।
আরও পড়ুন,করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, রোগী ভর্তি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা এবার ন্যাশনাল মেডিক্যালে
অপরদিকে, আজ ২০ দিন হল, ঝড়-বৃষ্টির মধ্য়েই খোলা আকাশের নিচে আধপেটা খেয়ে ফুটপাতে দিন কাটছে ওই দম্পতির। ওই দম্পতির দাবি, বহুবার নরেন্দ্রপুর থানাতে অভিযোগ জানাতেও, থানা কোনও ভাবে তাঁদের কথাকে গুরুত্ব দেয়নি। দম্পতি আরও জানিয়েছেন, ১৭ ই এপ্রিল , বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই দুজন আবার থানায় যান। কিন্তু থানায় পুলিশ বাবুদের বহু অনুরোধের পরেও তাঁদের কোনও ভাবে সাহায্য করা হয়নি। তাই তাদের একটাই প্রশ্ন, কেউ কি সাহায্য়ের জন্য়ে এগিয়ে আসবে না। এসপি রশিদ মুনির খান, বিষয়টি ফোনে শোনার পর আশ্বস্ত করেন,বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু এরপরও নরেন্দ্রপুর থানা কোনও ভাবে বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ করেনি। ফের থানা থেকে ওই দম্পতি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি বাড়ি ওয়ালা শৈলেনবাবুকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই অনেকেরই প্রশ্ন, অসহায়তার আর্তনাদ শুনতে পাবে না কি কলকাতা।
আরও পড়ুন, লকডাউনে কলকাতায় আটকে পড়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিন রাজ্য়ের ইঞ্জিনিয়ার
করোনার কোপে বন্ধ কলকাতার আস্ত একটি হাসপাতাল, ১০০ ছাড়িয়ে চিকিৎসক-নার্স সহ কোয়ারেন্টাইনে
পার্ক সার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই অভিযোগ তুলল পরিবার