সংক্ষিপ্ত

  • দীর্ঘ লকডাউনে কলকাতা যেন এক অচেনা শহর  
  • ড্রোন চলছে সাবধানে উড়তে উড়তেই দেখা আসল পাখিদের সঙ্গে 
  •  ভিক্টোরিয়ার সামনে ঘোড়াগুলি বনদফতর থেকে খাবার পেয়ে এখন প্রাণবন্ত 
  • শ্য়ামবাজাররের মোড়ে ঘোড়ার পিঠে বসে গোটা শহরটাকে আগলে রেখেছে একজন 

করোনা রুখতে জনতা কার্ফু হয়েই দীর্ঘ লকডাউনে কলকাতা যেন এক অচেনা শহর। কোথাও কোনও মানুষ নেই, নাইবা আছে দূষণ। কান না পাতলেও শুনতে পাওয়া যাবে বৈশাখের বিচিত্র পাখির কুজন। লকডাউনে দেশে নুনের জোগান কমলেও, সল্টলেকের নোনতা হাওয়া এখন শহর ছাড়িয়ে অনেকদূর।  আর এমন সময় শহরের অচেনা মুহূর্তগুলি ড্রোন ভিউ-এর মাধ্য়মে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরল কলকাতা পুলিশ।

আরও পড়ুন, রমজানে যত্রতত্র থুতু না ফেলার অনুরোধ, করোনা রুখতে স্বাস্থ্য়-সম্প্রীতির পরামর্শ ধর্মগুরুদের


কলকাতা পুলিশের ড্রোন চলছে সাবধানে। কখন বুঝি  উড়তে উড়তেই দেখা হয়ে যায়, আসল পাখিদের সঙ্গে। ওদিকে হাওড়ায় নেই কোনও রেলগাড়ির কু-ঝিক-ঝিক। বরং কিছু গাড়ি দাড়িয়ে অভয় দিচ্ছে। জানান দিচ্ছে, দীর্ঘ রেল সফরের মতই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে, যারা যাবে রেলের কামড়ার কোয়ারেন্টিনে। শ্য়ামবাজাররের পাঁচমাথার মোড়েও  কারও টিকিটি দেখা যাচ্ছে না। শুধু একজনই রাত-দিন ঘোড়ার পিঠে বসে গোটা শহরটাকে আগলে রেখেছে। ওদিকে বইপাড়ায় বইগুলির পাতা ওল্টায়নি অনেকদিন পথচলতি পড়ুয়ারা। যাবতীয় কুসংষ্কার ধুয়েমুছে সাফ করে আলো ছড়িয়ে দিতে তারাও এবার বাইরে বেরোবার অপেক্ষায়।

 

 

 

 আরও পড়ুন, করোনা রুখতে সরছে কামালগাছি বাজার, এলাকাকে 'গ্রিন জোন' বানানোর লক্ষ্য়ে কাউন্সিলর


 ভিক্টোরিয়ার সামনে ঘোড়াগুলি আর ক্লান্ত নেই। কয়েকদিন আগেই ওদের দায়িত্ব নিয়েছে বনমন্ত্রী। রোজের খাবার খেয়ে ওরা এখন বিশ্রাম নিচ্ছে। ধর্মতলা-এসপ্ল্য়ানেড চত্ত্বরেও এখন শুধুই বড়বড় চোখ করে দাড়িয়ে আছে শহীদ মিনার। শহরের মন্দির-মসজিত-গির্জা ফের গলা মিলিয়েছে এক সঙ্গে। রাতের পর রাত তাঁদের আশীর্বাদের হাত আছে এই শহরে। এদিকে শহরের হাসপাতাল-স্বাস্থ্য় কেন্দ্রগুলিতে করোনা-যুদ্ধের জন্য় মজুত আছে যাবতীয় সুরক্ষার সাঝ-সরঞ্জাম।  ময়দানের নীচের শহরও চুপিচুপি সব শুনছে, আর বলছে - এ যুদ্ধে জয় আসবেই এ-শহরে। 

 

 

  করোনা পজিটিভ প্রসূতির সুস্থ সন্তান, খুশির হাওয়া ফুলেশ্বরের হাসপাতালে

  করোনার কোপ এবার বাইপাসের ধারের বস্তিতে, ১৫০০০ মানুষকে পাঠানো হল কোয়ারেনন্টিনে

 ভেন্টিলেশনে করোনা আক্রান্ত রাজ্য়ের স্বাস্থ্য কর্তা ও সার্জন, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর