- লেকটাউনে রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া
- বাইরে থেকে তালা বন্ধ ৮দিন
- দিদির মৃতদেহ আগলে ভাই
- কেন তালাবন্ধ রাখা হত দিদি-ভাইকে
বাইরে থেকে তালাবন্ধ, আটদিন দিদির পচা মৃতদেহের পাশেই থাকতে হল ভাইকে। কেন মানসিক ভারসাম্যহীন ভাইকে দেখতে এল না পরিবার। লেকটাউনে কি রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পচা গন্ধে থাকতে পারছিলেন না প্রতিবেশীরা। তাঁদের খোঁজেই মিলল আসল সূত্র। দেখা গেল, মৃত দিদির পাশে আট দিন ধরে বাস করে চলেছে ভাই। একজন স্বাভাবিক মানুষ হয়ে কীভাবে মৃতদেহের পাশে বাস, তা অবাক করেছে সবাইকে। যদিও মৃতের ভাই জানিয়েছেন, বাইরে থেকে তালাবন্ধ থাকায় কাউকে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এমনকী দিদি যে মারা গেছে প্রথমে তাও বুঝতে পারেননি তিনি। খাওয়ার পর একদিন অজ্ঞান হয়ে যায় দিদি। এরপর আর ঘুম ভেঙে ওঠেনি।
আরও পড়ুন :পুজো এলেই কাজ আসে, দিন গোনেন বালুরঘাটের উমারা
আরও পড়ুন :রমাপদর বারো হাজার পদ্মে পূজিত হবেন বিদেশের দুর্গারা
তবে ভাইকে মানসিক ভারসাম্য়হীন ভাবা হলেও খটকা থাকছে কিছু প্রশ্ন ঘিরে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিদির সম্পর্কে তথ্য দিতে কোনও ভুল করেনি ভাই। যদিও সেই তথ্য কতটা সত্য়ি তা খতিয়ে দেখছ পুলিশ। জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম উমা দত্ত। তাঁর বয়স ৫২ বছর। স্বামী মারা গেছেন তাই ভাই বিশ্বরূপ সরকারের সঙ্গেই থাকছিলেন তিনি। গ্রিন পার্কের বাসিন্দারা জানিয়েছেন,গত দেড় বছর হল এলাকায় ভাড়া এসেছে ওই পরিবার। কদিন ধরেই ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকী বাড়ির সামনে দিয়ে নাক বন্ধ করে যাতায়াত করতে হচ্ছিল বাসিন্দাদের। শেষে বাড়ির ভিতরে উঁকি মারতেই সব রহস্য়ের জট খোলে। দেখা যায়, দিদির মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছেন ভাই।
আরও পড়ুন :নেট দেখেই নাচ শেখা, প্য়ারিসে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় শিলিগুড়ির দীপেশ
আরও পড়ুন :অভিনন্দন-সহ ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধা, মহরমে অন্য রকম শোভাযাত্রা দেখল মেদিনীপুর
এখনই এই ঘটনায় রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দেখছেন না প্রতিবেশীরা। ভাইয়ের কথাতেও রয়েছে বেশকিছু প্রশ্ন। কে বা কারা দিদি ও ভাইকে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে রেখেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ ঘরের তালা খুলেছে ভাইয়ের ভাগ্নে। মামাকে কেন তালা বন্ধ রাখা হত তার কোনও জবাব দিতে পারেনি সে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কলকাতার বুকে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগে রবিনসন স্ট্রিটে একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকে শহর। যেখানে দিদি দেবযানীর কঙ্কালের সঙ্গে দীর্ঘ ৬মাস কাটিয়েছিলেন পার্থ দে। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, প্রিয়জন চলে যাওয়ার পর তাঁকে জীবিত ভাবে বহু মানুষ। কিন্তু পার্থ দের মতো কিছু মানুষের আবেগ সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। ডাক্তারি ভাষায় যার নাম প্যাথলজিক্য়াল গ্রিফ। সেক্ষেত্রে কঙ্কালকেও খাওয়ানোর মতো স্পর্ধা দেখাতে পারেন পার্থ দের মতো লোকজন।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Sep 10, 2019, 3:53 PM IST