সংক্ষিপ্ত

  • এতদিন ব্যাগ, জুতো, এসবের মধ্যে দিয়ে জাল নোট পাচারের চেষ্টা হয়েছে  
  • তবে এবার সব কিছুকে ছাড়িয়ে,অভিনব পদ্ধতি নিয়েছে পাচারকারীরা  
  • সোয়েটারের তল্লাশি চালিয়ে মিলল তিন লক্ষ টাকারও বেশি জাল নোট   
  • সোয়েটারে রাখা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের ওই জাল নোট 

 কলকাতা পুলিশের এসটিএফ  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে  শহীদ মিনারের কাছে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করে। তাঁদের সোয়েটারে তল্লাশি চালিয়ে তিন লক্ষ টাকারও বেশি জাল-নোট গোয়েন্দারা উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেফতার করে। 

আরও পড়ুন, কুয়াশাচ্ছন্ন কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, ২৪ ঘণ্টা পরেই জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে

এতদিন ব্যাগ, জুতো, এসবের মধ্যে দিয়ে জাল নোট পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এবার সব কিছুকে ছাড়িয়ে,অভিনব পদ্ধতি নিয়েছে পাচারকারীরা। শীতে সোয়েটার পরে থাকলে কেউ সন্দেহ করবে না। তাই সোয়েটারের মধ্যে গোপন পকেট তৈরি করে সেখানে রাখা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের ওই জাল নোট। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা শহীদ মিনারের কাছে বাসস্ট্য়ান্ডে নামতেই গোয়েন্দারা তাদের আটক করেন।  ধৃতদের নাম সেনাউল শেখ (৩৪) ও আক্রামুল (৪৩)। দুজনেরই বাড়ি মালদার কালিয়াচকে। তাঁদের বুধবার শিয়ালদা কোর্টে তোলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কয়েকজন জালনোট পাচারকারিকে ধরেছিল এসটিএফ। তাঁদের জেরা করেই এই দুজনের হদিস পায় গোয়েন্দারা। এরপর থেকেই তাঁদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছিল। এরপরই তাঁদের ব্যাগ তল্লাশি করে কয়েকটি সোয়েটার পায় গোয়েন্দারা। সেগুলির ভিতরেই লুকিয়ে রাখা ছিল ৬৯২টি ৫০০ টাকার জালনোট। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নোটগুলি আরও নিখুতভাবে তৈরি করা হয়েছে, এরফলে আসলের সঙ্গে পার্থক্য় প্রায় নেই। 

আরও পড়ুন, বাসের ভাড়া ন্যূনতম ৯ টাকা করার দাবি, ফের আন্দোলনে নামবে মালিকপক্ষ

এসটিএফ অফিসাররাও তাজ্জ্বব বনে গিয়েছেন। ওই জাল নোট প্রায় অবিকল আসল নোটের মতই। খুব খুঁটিয়ে পরীক্ষা না করলে নকল কিনা ধরা শক্ত। তবে ওই বিপুল পরিমানের জাল নোট কোথা থেকে আসল, কোথায়ইবা পাঠানোর উদ্দেশ্য় ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাই ধৃতদের বিরুদ্ধে ১২০বি, ৪৮৯বি, ৪৮৯সি ধারায় মামলা দায়ের করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করতে চাইছে পুলিশ।