সংক্ষিপ্ত
- মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিনেও প্রশ্নপত্র ফাঁস
- ফাঁস হয়ে গেল ভূগোলের প্রশ্নপত্র
- পরীক্ষা শুরুর আগেই ফাঁস হল প্রশ্নপত্র
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই প্রশ্নপত্র
গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাতটি বিষয়েই পরীক্ষা শুরুর পনেরো মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র ঘুরেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২০২০ সালেও সেই ধারার পরিবর্তন ঘটল না। গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর পরীক্ষা শুরুর পর থেকে টানা তিন দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গেল মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র।
বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা। অভিযোগ উঠেছে, এদিন পরীক্ষা শুরুর আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে প্রশ্নপত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা থেকে। তার আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ রাজ্যের নানা জেলায় হোয়াটসঅ্যাপে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভূগোলের প্রশ্ন। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে দুপুর ৩টেয়। তার আগে কী করে ফাঁস হল প্রশ্নপত্র সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: উত্তম কুমার পুরস্কার আর পাওয়া হল না, নিভৃতেই চলে গেলেন মহানায়কের সহঅভিনেতা
গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথমদিন বাংলা পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁস হয়ে যায় প্রশ্নপত্র। দ্বিতীয় দিন ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও একই রকম ভাবে ফাঁস হয়ে যায়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মধ্য শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয় ভূগোলের প্রশ্নপত্র। তবে প্রশাসনের যুক্তি, পরীক্ষা শুরুর আগে খোলা হয় না প্রশ্নপত্রের প্যাকেট। তাই হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্র আদৌ আসল না হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিচ্ছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জের, সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠল লক্ষাধিক ঝিনুকের দেহ
তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় খুব একটা বিচলিত নন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবেব শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, “এটা নিয়ে মাথা ঘামাবার কিছু নেই। সবাই খবর করবার জন্য এসব করে।” দায়সারা ভঙ্গিতে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “কেউ যদি আধঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করে দেয় তাহলে তুমি আমি কী করব!”
যদিও শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও ছাত্র বা ছাত্রী যদি প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকে, তা হলে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। তার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত- তা সে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত কেউ হোক বা না হোক—শাস্তি হবেই।” কারা এই প্রশ্ন ফাঁস করছে তা খুঁজে বের করতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমধ্যমের প্রতিনিধিদেরও সরকার আতস কাচের নীচে রেখেছে বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। বলেছেন, “আমরা সোর্স ধরছি।”
গতবছর মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার-সহ একাধিক জেলায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনা আটকাতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। পর্ষদের সিদ্ধান্ত ছিল রাজ্যের ৪২টি ব্লকে দু’ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। কিন্তু তা করেও আটকানো যায়নি প্রশ্ন ফাঁস।