সংক্ষিপ্ত
বিজেপি বিধায়কদের সাবধান করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। ৫ বিধায়কের দলত্যাগের পর এবার কোনও বিধায়ক দল ছাড়লে কী পরিণতি হতে পারে, সেটা আগাম জানিয়ে দেওয়া হল এদিনের বৈঠকে।
ভোটের (WB Assembly Election) পর পাঁচ মাসে মুকুল সহ ৫ বিধায়কের দলত্যাগ। তবে এবার কোনও বিধায়ক দল ছাড়লে কী পরিণতি হতে পারে, সেটা আগাম জানিয়ে দেওয়া হল শুক্রবারের বিজেপির বৈঠকে (BJP Meeting)। বিজেপি বিধায়কদের সাবধান করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার (Suvendu Adhikari and Sukanta Mazumdar)।
আরও পড়ুন, জল্পনার অবসান, বিজেপি ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী
'এবার দল ছাড়লে কী পরিণতি হবে', বৈঠকে বাকিদের বোঝালেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা
এদিন বিজেপির বৈঠকে মূল বক্তব্য, দলের ঐক্য বড় কথা। লড়াই একসঙ্গে করতে হবে। বিধানসভার অন্দরে শুভেন্দু অধিকারী সামলাবেন। রাজ্যের ক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার দেখবেন। আর আমাদের সবার ওপরে থাকবেন দিলীপ ঘোষ। কোনও বিধায়ক দল ছাড়লে কী পরিণতি হতে পারে, সেটা আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন বৈঠক শেষে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খেলেও, বেরিয়ে যান দিলীপ ঘোষ। তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। উল্লেখ্য, গত পাঁচ মাসে ৫ বিধায়কের দলত্যাগ নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় সহ ৪ বিধায়কই নাম লিখিয়েছে তৃণমূলে। শুক্রবারই বিজেপি ছেড়ে গেলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'আমরা বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলছি। ব্যাক্তিগত স্বার্থ থেকে দলীয় স্বার্থ অনেক বড়ো। সকলকে অনুরোধ করছি, দলীয় স্বার্থের কথা ভেবে, আসুন একসঙ্গে কাজ করি।' প্রসঙ্গত, ভোটের আগে তৃণমূলেরও ভাঙন শুরু হওয়ার পর প্রায় সময় বিশেষ বৈঠকে বিধায়কদের দল না ছাড়ার অনুরোধ করা হতো। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দায়িত্বে থাকতেন সৌগত রায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, পার্থ্য চট্টোপাধ্যায়। তবুও শুভেন্দু-রাজীবদের দল ছেড়ে যাওয়াকে আটকানো যায়নি। তবে তারপেরও ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর এবার উলটপূরাণ গেরুয়া শিবিরে। একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেই আশঙ্কাতেই বিধায়কদের নিয়ে এদিন বৈঠক ডেকেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন, 'পুলিশকে দিয়েই ভবানীপুরে জাল ভোটার কার্ডে ভোট', BJP নেতাকে ফোন করে অভিযোগ কলকাতা পুলিশের
'ভাতা নিয়ে রাজনীতি করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদল'- শুভেন্দু, সেচ দফতরের ব্যর্থতা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি
এদিন বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী সেচ দফতরের ব্যর্থতা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন। এদিন মমতার সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'সরকার স্থায়ী পরিকাঠামোতে বিশ্বাস করে না। লোকসভায় বিপর্যয়ের পর এই সরকার উন্নয়নের জন্য স্থায়ী পরিকাঠামোতে বিশ্বাস করে না। খরচ করে না। উন্নয়নের খাতে বাজেট বরাদ্দ ছেটে দিয়েছে। ভোট ব্যাংক তৈরির লক্ষ্যে টোল এবং ভাতা নিয়ে রাজনীতি করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসকদল। এই নীতির অনিবার্য পরিণাম হিসাবে দক্ষিণ বঙ্গ বারবার বন্যার কবলে পড়েছে। সংকটে গরিব মানুষ।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা