সংক্ষিপ্ত

'যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে', ভবানীপুর জোড়াখুনের পর ফোন করে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।

'যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে', ভবানীপুর জোড়াখুনের পর ফোন করে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী রোডের একটি ফ্ল্যাটে থাকতে গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রশ্মিতা। পেশায় তাঁরা ছিলেন ব্যবসায়ী। ফোনে বাবা মাকে পাচ্ছিলেন না  অশোক শাহ ও রশ্মিতার মেয়ে। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা নিয়েই ছুটে আসেন তিনি। আর তারপরেই দেখেন ফ্ল্যাটের মেইন গেট খোলা।  ভিতরে বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। এরপর দ্রুত তিনি ভবানীপুর থানায় খবর দেন। দ্রুত এসে পৌছয় পুলিশ। ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী রোডের ওই বহুতল ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে গুজরাটি দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ।

সোমবার রাতে , ভবানীপুরের ওই জোড়া হত্যাকাণ্ডের প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় আতঙ্ক নামে। কারণ কলকাতায় এমন পরিবার অনেকেই আছেন, যা কর্মসূত্রে নিজের ভিটে ছেড়ে ভিন রাজ্যে এসে রয়েছেন। এ শহর তথা রাজ্যে একদিকে যেমন একের পর এক ধর্ষণ, খুন যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে আদৌ কতটা সুরক্ষিত শহরবাসী এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাতের কলকাতা আগের থেকেই প্রশ্ন চিহ্ন তুলে বসে রয়েছে, এবার দিনের আলো ডুবলেই বাড়ছে চিন্তা। ভবানীপুর জোড়াখুনের পর কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ফোন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, 'যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে'।

আরও পড়ুন, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্ত বহাল থাকবে, রাজ্যের আবেদন খারিজ করল আদালত

গতকাল জোড়া খুনের খবর পৌছতেই ঘটনাস্থলে পৌছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জী রোডের ওই বহুতল ফ্ল্যাটে যান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। স্নিফার ডগ নিয়ে উপস্থিত হয় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী শাখা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতির দুজবের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।  খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অুমান। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘরের ভেতরে গুলি চলার মতন আওয়াজ পেয়েছে এলাকাবাসী। তবে এখনও পুলিশের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। 

আরও পড়ুন, সঙ্গীতশিল্পী কেকে মৃত্যু তদন্তে কি সিবিআই, কলকাতা হাইকোর্টে গৃহীত হল মামলা

এদিকে তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাতে হাসিমারা বনবাংলোয় বসেই ভবানীরপুরের ঘটনার খবর পান তিনি।এরপরেই  পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফোন করে দ্রুত অপরাধীদের পাকড়াও করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত, ভবানীপুরের যে ফ্ল্যাট থেকে ওই দম্পত্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে মাত্র ৪৫০ মিটার দূরেই মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়ি। আর অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়ি কার্যত ঢিল ছোড়া দূরত্বে। তাই হাইসিকিউরিটি জোনে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের মুখে পুলিশ প্রশাসন।

আরও পড়ুন, ৯০ পুলিশ কর্মী, মঞ্চের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স, 'হু ইজ কেকে'- বলার পর প্রথম শো রূপঙ্করের