সংক্ষিপ্ত

অপহরণের চব্বিশ ঘন্টার মধ্য়ে উদ্ধার কসবার ব্যবসায়ী। টাকা দেওয়ার নাম করে ফাঁদ পেতে অভিযুক্তদের ধরেছে পুলিশ।  

অপহরণের চব্বিশ ঘন্টার মধ্য়ে উদ্ধার কসবার ব্যবসায়ী। উল্লেখ্য, পুলিশের পরিচয় দিয়ে কলকাতার কসবার ব্যবসায়ীকে অপরহণ করেছিল এক দল দুষ্কৃতী।  এদিকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার ১২ ঘন্টা আর মধ্যেই কসবা থানার পুলিশের জালে মূল চক্রী-সহ ৫ জন। ধরা পড়ে গেল অপরহণের গোটা দল। ধরা পড়ে গেল গোটা অপহরণকারীর দল। বাজেয়াপ্ত করা হল অপহরণের দুটি গাড়িকেও। জানা গিয়েছে, মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল ৪০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা দেওয়ার নাম করে ফাঁদ পেতে অভিযুক্তদের ধরেছে পুলিশ।  

 কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কসবার নামী শপিংমলের সামনে থেকে শেখ কুতুবউদ্দীন গাজি নামে এক ব্যবসায়ীকেগাড়িতে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। তার নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। ঘটনার দিন মূলত কসবার ওই নামী শপিং মলে গিয়েছিলেন বসিরাহাটের ইটভাটার মালিক শেখ কুতুবউদ্দীন গাজি।তিনি বাইরে বের হবার পরেই রাসবিহারি কানেকটর দিয়ে একটি গাড়ি আসে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ব্যবসায়ী নিজের গাড়িতে ওঠার আগেই জোর করে তাঁকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলে অপরহণকারীর দল। এরপর প্রচন্ড দ্রুতবেগে গাড়িটি বেরিয়ে যায়। 

আরও পড়ুন, 'যারা পুড়িয়ে মেরেছে, তাঁরা জেলে বহাল তবিয়তে আছে', বগটুইকাণ্ডে নাম জড়াল ডেপুটি স্পিকারের

পরিবারের দাবি রাতে মুক্তিপন চেয়ে ফোন আসে। মুক্তিপনের ফোন বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ফোন করে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কুতুবউদ্দীনের ব্যবাসায়িক সঙ্গী রেহান আহমেদ কুরেশি কসবা থানায় গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানান। কসবা নামী এাকা থেকে এভাবে ব্যবসায়ী অপহরণে রাতারাতি তদন্তে নামে লালবাজার। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে অপারেশনের ব্লু প্রিন্ট ছক করেন। অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার মুরলিধর শর্মা ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। অন্তত ৫০টি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। দুষ্কৃতিদের চালচলন সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে অপারেশনে নামেন তদন্তকারীরা।  দেখা যায় তাঁরা টালিগঞ্জের দিকে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন, রেপের সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে, ফের ধর্ষণ করে খুন ? মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার মেদিনীপুরে

এরপর পরিচয় গোপন রেখে মুক্তিপণের ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে দর কষাকাষি শুরু করে পুলিশ। একটি নির্দিষ্ট জায়গার কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানে টাকা নেওয়ার জন্য অপহরণকারীদেরকে ডেকে পাঠানো হয়। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে কলকাতা পুলিশের জালে অপহরহণকারীদের মূল চক্রী-সহ ৫ জন। পুলিশের ধারণা এই অপহরণের ঘটনায় ব্যবসায়িক রেষারেষি থাকতে পারে। আপাতত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মোট ৮ থেকে ১০ জন এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য