আনক্লেমড বডির শেষকৃত্যকে ঘিরে গড়িয়া শ্মশানে  গত একদিনে  এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য়  এনিয়ে একাধিক প্রশ্ন সুজনের, হুশিয়ারি রাজ্যপালের   এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন  ফিরহাদ হাকিম 

রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তে মৃত্য়ু সংখ্য়া বেড়ে এখন আতঙ্কের রুপ নিয়েছে। এদিকে করোনা আবহে পুরসভার গাড়ি এসে থামে গড়িয়া শ্মশানে। নামে পরপর ১৩ টি মৃতদেহ। প্রত্য়েকটাই 'আনক্লেমড বডি'। মুহূর্তেই চিৎকার শুরু এলাকাবাসীর। ধুন্ধমার গড়িয়া শ্মশানে। তারপর ফের দেহগুলি গাড়ি ভরে গাড়িটি চলে যায়। আর এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় তোলপাড় রাজ্য়। যা নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্য়পাল,কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা ও যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তবে এই পরিস্থিতিতে কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম।

ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন যে, সাধারণত 'আনক্লেমড বডি' বা অজ্ঞাতপরিচয় দেহের সৎকার আগে ধাপার শ্মশানে করা হত। এখন করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের সৎকার হয় সেখানে। কালীঘাট শ্মশানেও 'আনক্লেমড বডি'-র সৎকার করা হয়। তবে গড়িয়া শ্মশানে যে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেগুলি করোনায় আক্রান্ত নয় বলে দাবি করেন ফিরহাদ। পুরো ঘটনা নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখে জানাবেন বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত গড়িয়া শ্মশানে গাড়িতে করে ১৩ টি আনক্লেমড বডি আনা হয় পোড়ানোর জন্য। মুহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত বেরিয়ে আসে। গাড়ি থেকে মৃতদেহ নামতেই শুরু হয় ব্য়পক ঝামেলা।তাঁরা শ্মশানের মূল ফটক আটকে দেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল ও সিপিএম নেতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আসে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।তবে শেষ অবধি ঝামেলা করাতে বডি গুলো পোড়াতে পারেনি। তারপরই বাধ্য় হয়ে ওই মৃতদেহ আবার গাড়িতে তোলা হয়। এবং সেই বডি ভর্তি পুরসভার গাড়িটা শেষ অবধি চলে যায়।

রাজ্যপাল টুইটে জানান, 'পশ্চিমবঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে জবাব এসেছে। মৃতদেহ সৎকারে অব্যবস্থা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে ভবিষ্যতে নিয়ম-পদ্ধতি পালনের কথা বলা হয়েছে। এমন অমানবিক অপরাধ যাঁরা করেছেন, তাঁদের ছেড়ে পুলিশ লেলিয়ে যাঁরা এমন ঘটনা সামনে এনেছেন তাঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।' এবং 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইব। বিষয়টি চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যাব' বলে হুঁশিয়ারিও দেন।

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…

অপরদিকে সুজন চক্রবর্তী চিঠিতে এই ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। 'প্রশ্ন এই যে, এই ১৩টি লাশ কাদের। নিদিষ্ট স্থানের পরিবর্তে বেওয়ারিশ লাশ গড়িয়া শ্মশানে কেন। মৃতদেহগুলোর সাথে করোনার সম্পর্ক আছে কিনা অথবা গোপনীয় অন্য কারণ কি। গড়িয়া শ্মশান থেকে ফেরত যাওয়া লাশগুলোর পরিনতি কি ' সহ আরও একাধিক প্রশ্ন তুলে মানুষ সঠিক তথ্য জানতে চায় বলে চিঠিতে জানান তিনি। 

 এদিকে ঘটনাটি শুধু গড়িয়াতেই থেমে থাকে না। মৃতদেহ গাড়ির ভিডিওটি ভাইরাল হতেই গুজব ছড়ায় যে, অজ্ঞাতপরিচয় দেহগুলি করোনায় মৃত এবং তা এনআরএসের। আর এই ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবালকুমার মুখোপাধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। 

করোনায় সুরক্ষাবিধি নিয়ে বিক্ষোভের জের, বদলি ১৩ পুলিশকর্মীর

করোনা আক্রান্ত নিজাম প্যালেসের এক সিবিআই আধিকারিক, স্যানিটাইজ করা হল পুরো অফিস

করোনা আবহে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী-শাশুড়ির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

পিটিএসে নতুন করে আক্রান্ত আরও ৮, করোনা মুক্ত হয়ে কাজে ফিরলেন ১০০ পুলিশ কর্মী

দেহ রাখার জায়গা না থাকায় ডিপ ফ্রিজ বসছে মেডিকেলের মর্গে, মৃতদেহ 'ম্যানেজমেন্ট'-এ নিয়োগ অ্যাসি