সংক্ষিপ্ত
- মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরেও আশাবাদী সৌগত রায়
- শুভেন্দু আরও আলোচনা চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি
- শুভেন্দু আধিকারী বিজেপিতে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি
কয়েক দিল আগেও শুভেন্দু অধিকারীরা দলত্যাগের জল্পনায় জল ঢেলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়। একের পর এক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে সরে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই অবশ্য ছেড়ে দেন একের এপর এক গুরুত্বপূর্ণ পদ। সরকারী ও দলীয় সব পদ থেকেই তিনি সরে যাবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর। তবে মন্ত্রিসভা সভা থেকে তাঁর পদত্যাগে কিছুটা হলেও হতাশার সুর সৌগত রায়ের গলায়। তবে তিনি এখনও আশা ছাড়তে নারাজ।
সৌগত রায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারী পদ ছেড়েছেন কিন্তু তিনি দল ছাড়েননি। আরও আলোচনা চান শুভেন্দু। আর শুভেন্দুর এই কথায়কেই হাতিয়ার করে আশা জিয়ে রেখেছেন সৌগত। তিনি বলেন, শুভেন্দু যা করেছেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত। শুভেন্দু আরও আলোচনা চেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন তাঁর সঙ্গে যখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তখন শুভেন্দু বারবারই বলেছিলেন তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেন না। যদিও শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ করবেন না বলেও তাঁকে বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন সৌগত। আর সেই কথার রেশ টেনেই সৌগত রায় বলেন, কেন শুভেন্দু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তিনি বলতে পারবেন না। তবে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তাই বিষয়টি নিয়ে বাকিরা কী বলছে সে বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। সৌগত রায় আরও বলেন, এত কিছুর পরেও শুভেন্দ যদি বিজেপিতে যান তাহলে সেই বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবে না। শুভেন্দু মনে করেছেন পদ ছেড়ে দেওয়া উচিৎ তাই হয়তো তিনি পদত্যাগ করেছেন। শুভেন্দু দল ছাড়লে কী কী ক্ষতি হবে তা বলার সময় এখনও আসেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এবার পুঞ্চে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, প্রাণ গেল ভারতীয় সেনা জওয়ানের ...
কারা শুভেন্দুর পথে বিছিয়ে ছিলেন কাঁটা, যার জন্য মমতার মন্ত্রিসভা ছাড়লেন তমলুকের বিধায়ক ..
বেশ কয়েক দিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের জল্পনা চলছিল। যদিও বারবারই তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন সৌগত রায়। সোমবার বিষয়টি নিয়ে তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা করেন। আর তারপর শুভেন্দুর দলত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে রীতিমত আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তারপর সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই হতাশার সুর শোনা গেল বর্ষিয়ান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে গলায়।