সংক্ষিপ্ত
‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন একথা জানার পরই স্লোগান তৈরি করে ফেলেছিলেন দলীয় নেতৃত্বরা। সেখানে ব্যানার ও ফ্লেক্সের অধিকাংশই টাঙ্গানো হয়েছে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর তরফে।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর এই ঘোষণার পরই এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। শনিবার দুপুর থেকেই ভবানীপুরের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলনেত্রীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, ব্যানার, পোস্টার লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন একথা জানার পরই গতমাসে স্লোগান তৈরি করে ফেলেছিল দলীয় নেতৃত্ব। আর সেই স্লোগানই তুলে ধরা হয়েছে ব্যানার ও ফ্লেক্সে। সেখানে ব্যানার ও ফ্লেক্সের অধিকাংশই টাঙ্গানো হয়েছে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর তরফে। যার সভাপতি মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, অরাজনৈতিক সংগঠন ‘ভবানীপুর অধিবাসীবৃন্দ’ এবং স্থানীয় একাধিক ক্লাবের তরফেও প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সেই ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে ‘ভবানীপুর দিদিকেই চায়’।
শনিবার নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণার পরই পুরোদমে এই কেন্দ্রের প্রচারের ঝাঁপিয়ে পড়লেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। হোর্ডিং, ব্যানার টাঙিয়ে শনিবারই শুরু হয়ে গেল প্রচার। তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- কেশপুরের পুলিশ কোয়ার্টারে উদ্ধার এসআই-এর ঝুলন্ত দেহ, খুনের অভিযোগ দায়ের পরিবারের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 'বাংলা নিজের মেয়েকে চায়' স্লোগান তুলেছিল তৃণমূল। সেই স্লোগানই বাজিমাত করেছিল। 'নিজের মেয়ে'-র হাতেই তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু, ভবানীপুর নয় তখন নন্দীগ্রাম আসন থেকে লড়াই করেছিলেন মমতা। সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ওই আসনে টানটান লড়াইয়ের পর মমতাকে পিছনে ফেলে জয়ী হন শুভেন্দু। সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে মমতাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ফের রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা। তবে ৫ নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিততে হবে তাঁকে। তাই রাজ্যের উপনির্বাচন দ্রুত করানোর দাবি জানাচ্ছিল তৃণমূল। এদিকে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে এই কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। আর সেখান থেকেই ফের লড়াই করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আনা, এবার আমেরিকা সফরে যেতে পারেন মমতা
অবশেষে সেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। কারণ বিধানসভা নির্বাচেনর আগেই এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর মৃত্যু হয়। তাই স্থগিত রাখা হয়েছিল নির্বাচন। আর ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পরই চূড়ান্ত ধাপের প্রচার শুরু হল। স্লোগান লেখা হোর্ডিং, ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে ভবানীপুর। আর এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করতে চান না কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভবানীপুরবাসী।
আরও পড়ুন- ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, গণনা ৩ অক্টোবর
তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন হওয়ায় বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে ৫ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবেন না। আর রোড শো বা পথসভায় একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি কেউ থাকতে পারবেন না।