সংক্ষিপ্ত

জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিৎ তাঁর পদের মাহাত্য বজায় রাখা ও দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু তিনি তা করছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (Mamata Banerjee) ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) বিবাদ অব্যাহত। এবার তাঁদের মধ্যে বিবাদের নতুন ইস্যু বিএসএফ বা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের  (BSF) কাজের সীমানার এক্তিয়ার বৃদ্ধি। সম্প্রতি বাংলা, পঞ্জাব ও অসমে বিএসএফ এর কাজের পরিধিবাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে তা ৫০ মিটার করা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে বিএসএফ সদস্যরা তল্লাশি চালাতে পারবে, প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশের তীব্র বিরোধী জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। 

শনিবার জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিৎ তাঁর পদের মাহাত্য বজায় রাখা ও দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু তিনি তা করছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায় বিএসএফ ও পুলিশের একজোট হয়ে দেশের নিরাপত্তার জন্য কাজ করা জরুরি। তিনি আরও বলেন এই রাজ্যের সীমান্ত অত্যান্ত সংবেদনশীল। তাই এখানে নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করছেন- এমনটাও জানতে চেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন সীমান্ত অপরাধ শেষ করার জন্য রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর একসঙ্গে কাজ করার জরুরি। কেন্দ্রের নির্দেশ রাজ্য সরাকারের মেনে নেওয়াও জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছেন সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বব্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন তা একদমই অবৈধ। প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফ এর কাজের পরিধি ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপুলিশেকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে ধনখড় বলনে আইনত বিএসএফ-এর কাজের পরিধি যখন ৫০ কিলোমিটার বাড়ান হয়েছে তখন তা মেনে নেওয়াই শ্রেয়। রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন এই বিষয় নিয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে একটি চিঠিও লিখেছেন। 

রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, সংবিধান রক্ষা করা জরুরি। আর সংবিধান আর আইন মেনে চলা মুখ্যমন্ত্রীর উচিৎ।কিন্তু তাঁর কাজগুলি যদি আইন বিরোধী হয় ও ১৯৮৪ সালের বিএসএফ-আইন এখনও মেনে চলে তাহলে তা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। রাজ্যপাল আরও বলেন গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো মেনে চলাও প্রয়োজন। 

কথা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন মণিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম মেঘালায়া , নাগাল্যান্ড ও জম্মু ও কাশ্মীর সমগ্র অঞ্চলই বিএসএফএর অধীনে রয়েছে ১৯৭৩ সাল থেকে গুজরাটে বিএসএফ-এর কাজের পরিধি ৮০ কিলোমিটার, রাজস্থানে ৫০ কিলোমিটার। বর্তামেন দুটি সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য নতুন নিয়ম লাগু করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কারণ বাংলা তিনটি বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তভাগ করে নেয়। সেই কারণে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের নতুন নিয়ম মেনে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যের সাংবাধিনিক  প্রধান হিসেবেই তিনি সেই আবেদন জানিয়েছেন। 

জগদীপ ধনখড়ের আরও অভিযোগ সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে সব তথ্য দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু তিনি ২০১৯ সাল থেকে যেসব তথ্য চেয়েছেন তার কোনওটারই উত্তর এখনও পর্যন্ত পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে আমলাতন্ত্রের রাজনৈতিকরণ করা হচ্ছে। যা গণতন্ত্রকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।  

Eastern Railway: আয়ের উৎস বাতিল যন্ত্রাংশ, করোনাকালে পূর্ব রেলের আয় ২০০ কোটি টাকা

MP Cup: আগামী ২০ দিন রাজনীতি নয়, শুধুই খেলা হবে, বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Gautam Raghavan: হোয়াইট হাউসের বড় দায়িত্বে ভারতীয়, জো বাইডেনের প্রধান উপদেষ্টা গৌতম রাঘবন