সংক্ষিপ্ত
দীপাবলিতে শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। শুধুমাত্র কালীপুজোর দিন রাত ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে পোড়ানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি।
দীপাবলিতে (Diwali 2021 ) শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WB Pollution Control board)। শুধুমাত্র কালীপুজোর দিন রাত ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে পোড়ানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি (ECO friendly Crackers )। যদিও বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। তবে সেই মামলার রায় এখনও দেয়নি হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'চলো যাই', চা খেতে খেতে উত্তরবঙ্গে ইন্দ্রনীলের গানে মাতলেন মুখ্যমন্ত্রী
তবে শুধু কালীপুজোই নয়, ছট পুজো এবং বর্ষণবরণেও একইভাবে শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। ছট পুজোর দিন সকাল ছটা থেকে আটটা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। কোনও রকম শব্দবাজি এবং পরিবেশ দূষক বাজি পোড়ানো যাবে না বলে সাফ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ। বড়দিন এবং বর্ষবরণেও বাজি পোড়ানোয় সবুজ সঙ্কেত পর্ষদের। তবে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই। ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে ১১ টা ৫৫ থেকে ১২ টা ৩০অবধি পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। ওই দুই দিন ২ ঘন্টার বদলে শুধুমাত্র ৩৫ মিনিটের জন্য বাজি পোড়ানোয় মিলেছে ছাড়। মূলত ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত।
অপরদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ালে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ক্রমশ জটিলতা তৈরি করবে। কারণ কোভিডে এখনও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এবং এই সংক্রমণের সবচেয়ে দুর্বল জায়গাটাই ফুসফুস। আর সেই কারণের বাজির দূষণ আরও বেশি করে ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই চলতি বছরেও বাজির ধোঁয়া বিহীন উৎসব কাটানোর লক্ষ্যে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কালীপুজো, ছট পুজো, কার্তিক পুজো ও দীপাবলিতে বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাই এবারের মামলার রায়ের অপেক্ষায় তাঁকিয়ে সবাই।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে