বিজয়ের পর মিষ্টিমুখের জন্য বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন চন্দ্রকলা মিষ্টি। রইল তার রেসিপি।বিজয়ার পরে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের জন্য মিষ্টির প্রয়োজন হয়। অতিথিদের জন্য বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। রইল চন্দ্রকলা বানানোর সহজ রেসিপি।
বিজয়ার পরে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বন্ধুবান্ধব থেকে আত্মীয় পরিজন— পুজোর পর কেউ বাড়িতে এলে তাঁকে মিষ্টিমুখ না করালেই নয়। এখন আবার সকলেই খুব স্বাস্থ্য সচেতন। বাজার থেকে কিনে আনা কড়া মিষ্টির স্বাদ এখন অনেকেরই না-পসন্দ। বিজয়ার সময়ে তাই বাড়িতে বানিয়ে রাখতে পারেন কিছু মিষ্টির পদ।
নারকেলের অনেকেই ভালবাসেন! বিজয়ার সময়ে আগে অনেক বাড়িতেই চন্দ্রকলা বানানোর চল ছিল। এই মিষ্টি খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনিও। রইল সেই রেসিপি..
উপকরণ:
* ময়দা ২৫০ গ্রাম
* খোয়া ক্ষীর: ১ কাপ
* এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
* চিনি: ১/২ কাপ
* কোরানো নারকেল: ১ কাপ
* বেকিং পাউডার: ১/২ চা চামচ
* গুঁড়ো দুধ: আধ কাপ
* ঘি বা সাদা তেল: পরিমাণ মতো
* কাঠবাদাম-পেস্তা কুচি: ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
প্রথমে ময়দায় ঘি, বেকিং পাউডার ও জল দিয়ে শক্ত করে মেখে নিন। একটা ভিজে কাপড় দিয়ে ঘণ্টা খানেক ঢেকে রাখুন। এ বার একটা ননস্টিক প্যানে ঘি গরম করে তাতে নারকেল, বাকি খোয়া ক্ষীর, চিনি ও এলাচ গুঁড়ো, কাঠবাদাম-পেস্তা কুচি দিয়ে ভাল করে পাক দিয়ে দিন। পুর তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা করে নিন ভাল করে। এ বার ময়দা থেকে লেচি কেটে ছোট ছোট লুচির আকারে বেলে নিন। প্রতিটা লুচিতে পরিমাণ মতো পুর ভরে অর্ধচন্দ্রাকার আকারে গড়ে নিন। ধারগুলি একটু জল হাতে আটকে নিয়ে ভিতরের দিকে মুড়িয়ে নিন। এ বার কড়াইতে তেল ও ঘি মিশিয়ে গরম করে নিন। এ বার মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভেজে নিন চন্দ্রকলাগুলি। এই মিষ্টি ২-৩ দিন রেখেও দিতে পারেন। এবং বিজয়া দশমীর পর সকলে মিলে মিষ্টিমুখ করুন।


