মাছের বাজারে গেলেই চিংড়ির দিকে মন চলে যায়, এমন বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর বাড়িতে চিংড়ি এলে নতুন কী রান্না করা যায়, সেই ভাবতেই চলে যায় অনেকটা সময়। চটজলদি অল্প উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন দাহেবু।
চিংড়ি দিয়ে তো অনেক রেসিপি করা যায়। চিংড়ি খুব সহজলভ্য এবং খুব সহজ পদ্ধতিতে বিভিন্ন সবজির সাথে এবং বিভিন্ন রকম সরষে বা ভাপা বা রোস্ট করে খাওয়া যায়।
চিংড়ির কোন সিজন নেই সারা বছরই কমবেশি ছোট বড় মাঝারি সব রকমের চিংড়ি পাওয়া যায়। তাই চিংড়ি দিয়ে মোচার ঘন্ট বা এঁচোড় চিংড়ি অথবা পটল চিংড়ি এসব তো আমরা খেয়েই থাকি। তবে আজকে একটি খুবই নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম আবার যার নাম হলো দাহেবু।
চিংড়ি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন পুরাতন রান্না "দাহেবু"। যেটি চিংড়ি দিয়ে রান্না করা হয়, নারকেলের শাঁস ও মশলা দিয়ে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু পদ যেখানে চিংড়ির সাথে সর্ষের বাটা, কাঁচালঙ্কা, নারকেলের দুধ ইত্যাদি মিশিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়, যা অত্যন্ত সুগন্ধি হয়। পদ্মাপারের লোকজন যদি ইলিশ নিয়ে গর্ব করে, তবে এ পার বাংলা সহাস্যে আস্তিন গোটায় চিংড়িকে হাতিয়ার করে। বাড়িতে চিংড়ি এলে নতুন কী রান্না করা যায়, ভাবছেন? বানিয়ে ফেলতে পারেন দাহেবু।
উপকরণ:
* ৫০০ গ্রাম চাপড়া চিংড়ি (বড় টুকরো করে কাটা)
* পরিমাণ মতো ঘি
* ৫ গ্রাম গোটা গরমমশলা
* ২ কাপ পেঁয়াজবাটা
* ১ চা চামচ আদাবাটা
* ২টি আলু (ডুমো করে কাটা)
* ৫-৭টি কাঁচালঙ্কা
* স্বাদমতো নুন
* ১ কাপ টক দই (ভাল করে ফেটানো)
প্রণালী:
চিংড়িমাছগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। মাছ বড় হলে দু’টুকরো করে নিতে পারেন। এ বার কড়াইতে গরম ঘি-তে থেঁতো করা গরমমশলা ফোড়ন দিন। এ বার পেঁয়াজবাটা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। পেঁয়াজের রং সামান্য বদলে গেলে আদা বাটা দিয়ে দিন। আদার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে ডুমো করে কেটে রাখা আলু আর চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। আলু ভাজা ভাজা হয়ে এলে অল্প জল দিয়ে ফুটতে দিন। খানিক ক্ষণ পর মাছগুলি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। স্বাদমতো নুন দিয়ে মিনিট পাঁচেক পর ফেটানো টক দই দিয়ে দিন। ভাল করে মিনিয়ে কয়েক দানা চিনি মিশিয়ে দিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে বুঝবেন, রান্না একেবারে তৈরি। এবার গরম গরম ভাতে অথবা আপনি যেরকম পছন্দ করেন পোলাও বা লুচি পরোটার সাথেও খেতে পারেন এই রেসিপিটি।


