শীতকাল আসলেই প্রতিটা বাঙালির বাড়িতে খেজুর গুড়ের রাজত্ব থাকে। তবে বর্তমানে ভেজাল খেজুর গুড় বেশি পাওয়ায়, দোকানে কিনতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। আসল গুড় কিভাবে চিনবেন জানুন আজকের প্রতিবেদনে।

শীতের বাজারে ভেজাল খেজুর গুড় থেকে বাঁচতে রঙ, স্বাদ, ঘনত্ব ও জলে দ্রবণীয়তা পরীক্ষা করে নেবেন। আসল গুড় হবে গাঢ় বাদামি/কালচে, হালকা মিষ্টি (নোনতা/তেতো নয়), নরম ও সহজে ভাঙা যায়, আর জলে ধীরে ধীরে লালচে/বাদামি হয়ে মিশে যাবে।অন্যদিকে ভেজাল গুড় উজ্জ্বল হলুদ/লালচে, অতিরিক্ত মিষ্টি, শক্ত, কচকচে এবং জলে সাদা স্তর তৈরি করে বা দুধের মতো সাদা হয়ে যায়।

*আসল ও ভেজাল খেজুর গুড় চেনার বিস্তারিত পদ্ধতি:*

১. রঙ (Color):

• আসল: গাঢ় বাদামি বা কালচে রঙের হয়, দেখতে বেশি উজ্জ্বল হয় না।

• ভেজাল: কৃত্রিম রং মেশানো থাকায় উজ্জ্বল হলুদ, লালচে বা কমলা রঙের হতে পারে।

২. গন্ধ ও স্বাদ (Smell & Taste):

• আসল: প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ থাকে, হালকা সুগন্ধ পাওয়া যায়। বেশি মিষ্টি, নোনতা বা তেতো স্বাদ থাকলে বুঝবেন ভেজাল আছে।

• ভেজাল: অতিরিক্ত চিনির কারণে খুব বেশি মিষ্টি, নোনতা (পুরোনো গুড়) বা তেতো স্বাদ (বেশি জ্বাল দেওয়া) হতে পারে, বা রাসায়নিকের কারণে অন্যরকম গন্ধ থাকতে পারে।

৩. গঠন ও দৃঢ়তা (Texture & Firmness):

• আসল: হালকা নরম হয়, পাটালি গুড় আঙুলের চাপে বা সহজে ভাঙা যায়।

• ভেজাল: শক্ত ও কঠিন হয়, ভাঙতে কষ্ট হয় এবং মুখে দিলে কচকচ করে (চিনি মেশানো থাকলে)।

৪. জলে দিয়ে পরীক্ষা (Water Test):

• আসল: এক গ্লাস জলে গুড়ের টুকরা ফেললে তা ধীরে ধীরে গলে গিয়ে জলকে হালকা লালচে বা বাদামি রঙে পরিণত করবে।

• ভেজাল: জলের উপর সাদা স্তর ভাসবে, বা জলে দুধের মতো সাদা হয়ে যাবে, অথবা গুড় নিচে জমাট বেঁধে থাকবে।

৫. স্বাস্থ্যকর দিক:

• আসল খেজুর গুড় চিনির চেয়ে স্বাস্থ্যকর, এতে প্রচুর পুষ্টিগুণ ও খনিজ থাকে, যা শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।

এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে শীতের বাজারে ভেজাল গুড় এড়িয়ে খাঁটি ও স্বাস্থ্যকর খেজুরের গুড় কেনা সম্ভব।