দু’বেলার ভাত বেশি করেই করে রাখেন অনেকে। আবার সময় বাঁচাতে একসঙ্গে অনেকটা ভাত করে ফ্রিজে রেখে দেওয়াও হয়। খাওয়ার সময় এক বার গরম করে নিলেই হল। তবে শরীরের ক্ষতি রুখতে কী ভাবে ভাত রাখবেন, জেনে নিন সেই কৌশল।

ভাত ফ্রিজে রাখার সময় সবচেয়ে বড় ভুল হলো রান্না করা ভাত দীর্ঘক্ষণ ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া, যা Bacillus cereus নামক ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি ঘটায় এবং গরম করলে বিষক্রিয়া (খাবার বিষক্রিয়া) সৃষ্টি করে, তাই ভাত রান্না করার এক ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখা, ছোট ছোট অংশে ভাগ করে রাখা এবং পুনরায় গরম করার সময় ভালোভাবে গরম (অন্তত ১৬৫°F বা ৭৪°C) করা জরুরি।

কেন ভাত থেকে বিষক্রিয়া হয়?

* ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি: কাঁচা চালে Bacillus cereus স্পোর থাকে যা রান্নাতেও মরে না এবং গরম ভাতে বংশবৃদ্ধি করে।

* ঘরের তাপমাত্রা: রান্না করা ভাত দীর্ঘ সময় (১-২ ঘণ্টার বেশি) ঘরের তাপমাত্রায় থাকলে এই ব্যাকটেরিয়া দ্রুত সংখ্যায় বাড়ে এবং বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে।

* বিষক্রিয়ার কারণ: বারবার গরম করা বা ভুলভাবে সংরক্ষণ করা ভাত খেলে ডায়রিয়া, বমি ভাব বা অন্যান্য পেটের সমস্যা হতে পারে।

নিরাপদ রাখার নিয়মাবলী:

* দ্রুত ঠান্ডা করুন: রান্না করার এক ঘণ্টার মধ্যে ভাত ঠান্ডা করতে হবে, গরম অবস্থায় বড় পাত্রে ফ্রিজে রাখবেন না, এতে তাপ আটকে থাকে।

* ছোট পাত্রে ভাগ করুন: বেশি পরিমাণে রান্না করলে ভাতকে কয়েকটি ছোট, বায়ুরোধী (airtight) পাত্রে ভাগ করে ফ্রিজে রাখুন, এতে দ্রুত ঠান্ডা হয়।

* ফ্রিজে সংরক্ষণ: যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য (২-৩ দিনের মধ্যে) ফ্রিজে রাখুন এবং তাজা ভাত খাওয়াই শ্রেয়।

* সঠিকভাবে গরম করুন: ফ্রিজ থেকে বের করে খাওয়ার আগে ভালোভাবে গরম করুন, নিশ্চিত করুন যে এটি ভেতরের তাপমাত্রা ১৬৫°F (৭৪°C) এ পৌঁছেছে, যাতে ব্যাকটেরিয়া মরে যায়।

* সন্দেহ হলে ফেলে দিন: যদি ভাতের গন্ধ বা রং পরিবর্তন মনে হয়, তবে সেটি না খেয়ে ফেলে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।