গরমের দিনে ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও খিটখিটে মেজাজ থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের রস অমৃত সমান। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হজম শক্তি উন্নত করে এবং ত্বকের জন্যও উপকারী।

গরমের হাত থেকে বাঁচতে আমরা কত কিই না করি। কিন্তু বেশ কিছু তথ্য আমাদের কাছে আজও অজানাই রয়েছে। গরম থেকে মুক্তি পেতে আম, তরমুজের মতো লাউয়ের রসই বা বাদ থাকে কেন! বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। এই গরমে লাউয়ের রস পান করলে ৮ টি উপকার মেলার কথা বলেছেন তাঁরা।

গরমের মরসুমে আমাদের প্রত্যেকের শরীরকেই ডিহাইড্রেশন্‌, ক্লান্তি আর খিটখিটে মেজাজ যেন গ্রাস করে। আর তা থেকেই চটজলদি মুক্তি পেতে লাউয়ের রস পান করা উচিত। গরমে আপনি যদি নিজেকে সতেজ রাখতে চান, তবে আপনার জন্য লাউয়ের রস অমৃতের চেয়ে কোন অংশেই কম কিছু নয়। এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করলে আপনি একটা তাজা অনুভূতি লাভ করতে পারবেন।

বাজারের প্যাকেতজাত বিভিন্ন সিলপ্যাক সরবত বা ঠাণ্ডা জলের জায়গায় এবার ঘরে তৈরি লাউয়ের রস পাতে রাখুন। গরমের দিনে বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে গুরুত্ব বাড়াচ্ছে লাউয়ের রস। হয়তো এটা শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু এমনি এক তথ্য বলছে লাউয়ের হাজার উপকারিতার কথা।

গ্রীস্মের দিনে লাউয়ের রস পান করলে যে উপকার মিলবে-

১। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে লাউয়ের রসের ভূমিকা কল্পনাতীত। লাউয়ে প্রায় ৯৬ শতাংশ জল রয়েছে, যা গ্রীস্মকালে শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

২। ওজন কমাতেও লাউয়ের রসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখন ছোট থেকে বড় প্রতিটা মানুষই শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে ব্যস্ত। সেক্ষেত্রে লাউয়ের রস বেশ সহায়ক। লাউয়ে ক্যালরি কম ফাইবার বেশি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।

৩। এটি হজম শক্তিকে উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে লাউয়ের রস।

৪। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করতেও লাউয়ের রস গুরুত্বপূর্ণ। এতে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ থাকে, যা শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫। লাউয়ের রস ত্বকের জন্যও উপকারী।এর অ্যাটিঅক্সিডেন্ত এবং হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য ত্বককে সুস্থ এবং দীপ্তিময় করে তোলে।

৬। শক্তির স্তরকে বাড়ায়। এতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজ শরীরকে শক্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়।

৭। স্ট্রেস কমাতে লাউয়ের রস গুরুত্বপূর্ণ। লাউয়ে থাকা কোলিন নামক যৌগটি মস্তিস্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।