সংক্ষিপ্ত

যাদের সর্দিকাশী বা অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই দীপালির ধোঁয়া মারাত্মক হতে পারে। হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

দীপাবলি বা কালীপুজো আলোর উৎসব। এই সময় অনেকেই আতশবাজি পুড়ায়। প্রদীপ জ্বালায়। কিন্তু এই সময় আতশবাজি বা অন্যান্য বাজি ও প্রদীপের ধোঁয়া শ্বাসনালীর সমস্যা তেরি করে। বিশেষ করে যাদের সর্দিকাশী বা অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই দীপালির ধোঁয়া মারাত্মক হতে পারে। হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই দীপাবলির দূষণ থেকে বাঁচার সহজ কয়েকটি উপায় রইল আপনার জন্য।

বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই যে পরামর্শ দিয়েছেন তা অবশ্য অনেককেই হতাশ করবে। কারণ তাঁরা বলেছেন,

১.শ্বাসনালীর সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য আতশবাজি পোড়ান থেকে বিরত থাকতে হবে। যদিও বা আতশবাজি পোড়ান তাহলে যেখানে গাছপালা বেশি ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে পোড়ানোই শ্রেয়। তাহলে হার্টের বা শ্বাসনালীর সমস্যা খুব একটা বেশি হবে না। তবে শিশু ও বৃদ্ধদের এর থেকে দূরে থাকাই ভাল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

২. মাস্ক পরে আতশবাজি পোড়ালে শ্বাসনালীর সমস্যা অনেকটা কম হতে পারে। কারণ ক্ষতিকারক ধোঁয়া বা ধূলিকণা আপনার শরীরে সরাসরি ঢুকতে পারে না। হাঁপানি বা সর্দিকাশির সমস্যা যাদের রয়েছে তারা মাস্ক পরেই রাস্তায় বের হন। বাড়ির বাইরে বার হলেও এই সময়টা মাস্ক পরা বন্ধ করবেন না।

৩. যাদের হার্টের বা শ্বাসনালীর সমস্যা রয়েছে তাদের বাড়ির বাইরে বেশি না বার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জানলা ও দরজা বন্ধ করে রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

৫. দীপাবলির দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই সময়টা প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। শ্বাসনালীকে আর্দ্র ও পরিষ্কার রাখা অত্যান্ত জরুরি। এই সময় চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। অ্য়ালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন। এগুলি শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করতে পারে।

৬. শ্বাসকষ্ট বা কাশির মত সমস্যা হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৭. পরিবেশ বান্ধব আতশবাজির ব্যবহার করা জরুরি। যার মধ্য়ে রয়ে প্রদীপ, মোমবাতি জালালে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। ফানুসও ওড়াতে পারেন। তবে প্রবল শব্দ হয় বা প্রচুর ধোঁয়া নির্গত হয় এমন বাজি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

৮. বাজি পোড়ানোর সময় ঘন ঘন জল পান করলে শ্বাসনালীর সমস্যা থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়। তাই বাজি পোড়ানোর জায়গায় অবশ্যই জল রাখবেন।