পিঠের ব্যথায় কম বেশি অনেকেই ভোগেন আবার যদি তার ৪০ ঊর্ধ্ব বয়স হয় সেক্ষেত্রে পিঠের ব্যথাটা ক্রনিক ডিজিজে পরিণত হতে থাকে। ডাক্তার এর অনেক ওষুধই খাওয়া হয় কিন্তু ঘরোয়া এই টোটকাটা করেই দেখুন।

এমনিতেই চল্লিশের কোঠা পার করলেই পিঠের ব্যথা, কোমরের ব্যথা জাঁকিয়ে বসে বলে শোনা যায়। একটানা অনেকটা সময় বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করলেও এক ধরনের যন্ত্রণা শুরু হয়। আসলে আমাদের পিঠে রয়েছে একাধিক ‘জয়েন্ট’ বা ' অস্থি সন্ধি '। তাই যদি দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তা হলে দেহের ওজনের চাপ পড়ে পেশিতে। এই চাপ যত বাড়তে থাকে, পেশি তা রোধ করার চেষ্টা বাড়াতে থাকে। তখনই ব্যথা শুরু হয়।

আজকের দ্রুতগতির জীবনে, যেখানে ছোট-বড় ব্যথায় আমরা ওষুধের দিকে ছুটে যাই, সেখানে এমন এক সহজ, প্রাকৃতিক উপায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রকৃত চিকিৎসা অনেক সময় প্রকৃতির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।

এক ফেসবুক পোস্টে শাবানা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কোমর ব্যথায় ভুগছিলেন জাভেদ। এক সদয় ব্যক্তি সেই ব্যথা সারানোর একটি ঘরোয়া টোটকা বাতলে দেন। তা কাজে লাগিয়ে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যেই ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন জাভেদ।

উপকরণ:

মেথি দানা - ১০০ গ্রাম মৌরি - ৫০ গ্রাম মিছরি - ৫০ গ্রাম

প্রস্তুত প্রণালী:

সব উপকরণ একসাথে মিক্সারে দিয়ে মিহি গুঁড়ো করে নিন। সেই গুঁড়ো একটি পরিষ্কার, বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আধা চা চামচ গুঁড়ো অর্ধেক গ্লাস গরম দুধে মিশিয়ে পান করুন।

বিশেষ টিপস:

মিছরি ও গরম দুধ এই টোটকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ- এগুলো বাদ দেবেন না।

চাইলে দুধের পরিবর্তে আমন্ড দুধ ব্যবহার করলেও কার্যকারিতা বজায় থাকবে।

নিয়মিত এই উপায়ে চললে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যথা কমে আসবে এবং শরীরে নতুন উদ্যম ফিরে আসবে।

মেথি দানায় আছে প্রদাহনাশক গুণ, যা শরীরের ভিতরে জমে থাকা প্রদাহ কমায় ও পেশীর টান হালকা করে। মৌরি হজমে সাহায্য করে, শরীরকে ঠান্ডা রাখে, এবং স্নায়ুর চাপ কমায়। অন্য দিকে, মিছরি শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। গরম দুধের সঙ্গে মিশে এই পানীয়টিকে আরও মোলায়েম এবং উপভোগ্য করে তোলে

এছাড়া কিছু সতর্কতা সকলকেই মেনে চলা উচিত। যারা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত যেমন:

* সঠিক ভঙ্গি এবং ব্যায়াম:

বসা, দাঁড়ানো এবং শোয়ার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন। কোমরের পেশী শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

* ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কোমরে চাপ বাড়াতে পারে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

* কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে :

যদি ব্যথা খুব তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

যদিও এই টোটকাগুলো কার্যকর হতে পারে, তবে এটি একটি সাধারণ পরামর্শ। আপনার নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার জন্য একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।