- Home
- Lifestyle
- Health
- Coronavirus: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পুরনো টিকা কতটা কার্যকরী? রইল বিশেষজ্ঞদের মতামত
Coronavirus: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পুরনো টিকা কতটা কার্যকরী? রইল বিশেষজ্ঞদের মতামত
COVID-9 vaccines: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিত্যদিনই বাড়ছে। এই অবস্থায় পুরনো টিকা কতটা কার্যকরী তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানুন বিশেষজ্ঞরা কী বলেছেন পুরনো টিকা সম্বন্ধে।

করোনা ভাইরাস
আবার নতুন করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রাণ। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ -এরও বেশি। নিত্যদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য
ভারতে শনিবার কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৭১০। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছে ১১৭০ জন। মৃতের সংখ্যা ৭।
পর্যবেক্ষণ
কেন্দ্রীয় সরকার জনিয়েছে করোনভাইরাসের সংক্রমণের দিকে গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে চিকিৎসার।
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত
পশ্চিমবঙ্গেও করোনাভাইরাসে আক্রন্তের সংখ্যা বাড়ছে। দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা-সহ একধিক জেলায় আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেছে।
টিকা অমিল
বর্তমানে বাজারে করোনাভাইরায়ের টিকা অমিল রয়েছে। চাহিদা বাড়ছে বলেও অনেকেই জানিয়েছেন। কিন্তু সরবরাহ অনেকটাই কম।
টিকা প্রয়োজনীয় নয়
বিশেষজ্ঞদের কথায় কেউ যদি মনে করেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে টিকা নেবেন তাহলে নিতে পারেন। কিন্তু বাজারে যে টিকাগুলি পাওয়া যায় সেগুলি এই সংক্রমণ রুখতে খুব একটা পারদর্শী নয়।
বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞদের মতে বাজারে যে করোনা টিকা পাওয়া যায় সেগুলি তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালের পুরনো কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্ট থেকে। কিন্তু যে ভ্যারিয়েন্ট থেকে সংক্রমণ তার চরিত্রের বদল অনেকটাই। তাই পুরনো টিকা খুব একটা কার্যকরী নয় বলেও মনে করছেন অনেকে।
গণটিকা
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, কোভিড-১৯এর ভ্যারিয়েন্টের বদল হয়েছে। আর সেই করণে এই পরিস্থিতিতে গণটিকার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন করে টিকা তৈরি করার মত কাঠামো দেশে রয়েছে।
আইসিএমআর-এর বক্তব্য
আইসিএমআর-এর উপদেষ্টা গবেষণ তথা করোনা মোকাবিলার অন্যতম বিজ্ঞানী সমীরণ পণ্ডা জানিয়েছেন, 'নতুন পরিমার্জিত ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে দেশের পরিকাঠামো যথেষ্ট মজবুত।'
ভ্যাকসিন তৈরি
তিনি আরও বলেছেন, শুধু দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নিষ্ক্রিয় ভাইরাস (কোভ্যাক্সিন) কিংবা অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর (কোভিশিল্ড) ভ্যাকসিনই নয়, বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি একাধিক এম-আরএনএ ভ্যাকসিনও রয়েছে এখন ভারতে।
এক সপ্তাহে এক কোটি টিকা
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্য়েই এক কোটি টিকা তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে এই দেশে।
মজুত টিকার অবস্থা
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে যে টিকাগুলি মজুত রয়েছে সেগুলি এখন ব্যবহার করে তেমন কোনও লাভ নেই।
কারণ
বিশেষজ্ঞদের কথায় তিন বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল টিকাগুলি। কিন্তু তারপর কোভিড-এর প্রজাতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তাই সেগুলি ব্যবহার করে খুব একটা ভাল ফল পাওয়া যাবে না।
শেষ টিকা
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, শেষ টিকা তৈরি হয়েছিল ওমিক্রনের জন্য। তারপরেও গত তিন বছর করোনার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তন
ভাইরোলজিস্ট সৌরীশ ঘোষ একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের পরিবর্তন হয়েছে। তাই পুরনো টিকাগুলি অকেজো হয়ে পড়েছে।

