শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধে ডায়েটে রকমারি সব্জি রাখা উচিত। তবে তালিকায় যদি পালং শাক থাকে, তা হলে বিবিধ রোগ থেকে সহজেই দূরে থাকা সম্ভব।
শীতে রোগ প্রতিরোধের জন্য পালং শাক একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করতে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এ ও সি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
শীতের শুরু থেকেই বাজারে শাকসব্জির ভিড় বাড়তে থাকে। আবার, বছরের এই সময়ে ডায়েট ঠিক না হলে রোগের প্রাদুর্ভাবও বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যের জন্য শীতের সময়ে ডায়েটে পালং শাক রাখা অত্যন্ত জরুরি।
* শীতে পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা:
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শীতকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব জরুরি। পালং শাকে থাকা ভিটামিন ও খনিজ শরীরকে শক্তিশালী করে এই সময়ে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২) চোখের স্বাস্থ্য: এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং ছানি পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
৩) হাড়ের জন্য উপকারী: পালং শাকে থাকা ভিটামিন K, ক্যালসিয়াম, এবং অন্যান্য খনিজ হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: পালং শাকে ক্যালোরি কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫) ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: পালং শাকে থাকা লুটেইন ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।
* কীভাবে ডায়েটে পালং শাক রাখবেন:
সকালের জলখাবারে পালং শাক দিয়ে অমলেট বা পরোটা বানাতে পারেন। দুপুরের বা রাতের খাবারে পালং শাকের তরকারি, পালং পনির অথবা পালংয়ের স্যুপ তৈরি করতে পারেন। স্যালাডেও পালং শাক ব্যবহার করতে পারেন। পালং শাক দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন।
সুতরাং, শীতে সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পালং শাক যোগ করুন।


