Fish Bone: মাছ খেতে গিয়ে কখনও গলায় বা মুখে কাঁটা আটকে যায়নি, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। গলায় কাঁটা আটকে যাওয়া অনেক সময় মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এই কারণে সতর্ক থাকা জরুরি।

Fish Bone Problem: গলায় মাছের কাঁটা বিঁধে গেলে প্রথমে ঠান্ডা মাথায় কিছু ঘরোয়া উপায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যেমন উচ্চস্বরে কাশি দেওয়া বা নরম আঠালো খাবার যেমন সাদা ভাত বা পাকা কলা অল্প করে খাওয়া। তবে যদি কাঁটা গুরুতরভাবে আটকে থাকে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, অতিরিক্ত ব্যথা হয় বা বারবার বমি হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে যদি কাঁটা বের করতে না পারেন, বা গলায় তীব্র ব্যথা, রক্তপাত, বা শ্বাসকষ্ট হয়।

তাহলে জেনে নিন কী করণীয়-

  • জোরে গলায় কাশি করুন: গলায় আটকে থাকা কাঁটা বের করার প্রথম ও সবচেয়ে সহজ উপায় হল জোরে কাশি দেওয়া। এতে কাঁটা স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে আসতে পারে।
  • অল্প করে নরম খাবার খান: সাদা ভাত, অল্প পরিমাণে শুকনো সাদা ভাতের দলা তৈরি করে গিলে ফেলার চেষ্টা করুন। এটি কাঁটাকে ধরে নামিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
  • পাকা কলা: একটি পাকা কলা অল্প করে চিবিয়ে গিলে ফেললে অনেক সময় কাঁটা নরম হয়ে যায় এবং এটি কাঁটাকে আটকে বের করে আনতে সাহায্য করতে পারে।

অন্যান্য ঘরোয়া উপায়ও জেনে নিন-

  • অলিভ অয়েল: অল্প পরিমাণে অলিভ অয়েল গিলে ফেললে কাঁটা পিচ্ছিল হয়ে নরম হয়ে যেতে পারে।
  • ভিনিগার : ভিনিগার বা লেবুর রস দিয়ে গার্গল করলে কাঁটা নরম হতে পারে, যদিও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে।

অন্য কী উপায় রয়েছে?

  • গলা পরিষ্কার করার জন্য গরম জল দিয়ে গার্গল করতে পারেন। যদি উপরের কোনও পদ্ধতি কাজ না করে, অথবা যদি নীচের লক্ষণগুলি দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
  • গলা ব্যথায়: যদি কাঁটাটি গলার গভীরে আটকে থাকে এবং তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • শ্বাসকষ্ট হলে: যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা আপনি হাঁপিয়ে ওঠেন, তাহলে এটি একটি জরুরি অবস্থা এবং দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
  • রক্তপাত হলে: যদি কাঁটা বিঁধে যাওয়ার পরে রক্তপাত হয়, তবে তা সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে এবং অবিলম্বে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন।
  • বারবার বমি হলে: বারবার বমি হলে বা বমি হওয়ার প্রবণতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • কাঁটা বের না হলে: যদি কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করার পরেও কাঁটা বের না হয়, তাহলে এটি গলার ভেতরের টিস্যুতে লেগে থাকতে পারে এবং এটি একটি সংক্রমণ ঘটাতে পারে, তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক।
  • জ্বর হলে: কাঁটা আটকে যাওয়ার পরে যদি জ্বর আসে, তাহলে এটি সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে এবং চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।