- Home
- Lifestyle
- Health
- মরশুম পরিবর্তনের সময় ঠান্ডায় সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে? রইল সহজ কিছু ঘরোয়া টোটকা
মরশুম পরিবর্তনের সময় ঠান্ডায় সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে? রইল সহজ কিছু ঘরোয়া টোটকা
Winter Health Care Tips: খাতায় কলমে হিসেব বলছে এখন হেমন্তকাল। কিন্তু বাতাসে গরম ভাব এখনও কমেনি। মরশুম পরিবর্তনের এই সময়ে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার হাত থেকে নিজেকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন? জানুন বিশদে…

আদা-মধু সেবন
মরশুম পরিবর্তন মানেই এই সময়ে অনেকেরই ঠান্ডা লেগে যায়। ফলে ছুটতে হয় ডাক্তারের কাছে। কিন্তু ঘরোয়া কিছু টোটকা মেনে চললেই তা হতে পারে আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য দারুন কার্যকরী। এই সিজন চেঞ্জের সময় ঠান্ডা লেগে যাওয়ার কবল থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত পান করুন মধু সহযোগে আদার রস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ২ চা চামচ আদার রসের সঙ্গে ২.৫ চা চামচ মধু মিশিয়ে সামান্য গরম করে দিনে তিন থেকে চারবার খেতে পারেন। এতে গলায় খুসখুস ভাব কমে এবং শরীর থাকে তরতাজা।
তুলসী
শীতের শুরু হোক কিংবা সারাবছর। শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তুলসী পাতা অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। খোদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সর্দি-কাশিতে তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই সময়ে সকালের দিকে কয়েকটি কাঁচা তুলসী পাতা ও মধু এবং গোলমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে চেবালে ভীষণ উপকার মেলে। সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রেহাই মেলে।
হলুদ দুধ
শীতকালে নিয়ম করে গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করলে সর্দি-কাশির উপশম হতে পারে। এছাড়াও আপনার ডায়েটে এই হলুদ দুধ রাখতে পারেন। এতে যেমন শরীর খারাপের হাত থেকে মুক্তি মেলে তেমনই শীতে ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
মরশুম বদল এবং ঠান্ডায় সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে এই সময় ঘরের লোকদের উচিত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া। কারণ, লেবু, কমলালেবু, ব্রকলি এবং স্ট্রবেরির, আমলকির মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এবং শরীরের নানা উপকার করে।
গোলমরিচ
গলা ব্যথা থেকে শুকনো কাশি, হালকা ঠান্ডা লেগে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে গোলমরিচ। এর স্বাস্থ্যগুণ জানলে অবাক হবেন। কারণ গোলমরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন C ও A। খনিজ পদার্থ এবং পাইপারিন (piperine) নামক একটি বিশেষ উপাদান। এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে, এবং শরীরের প্রদাহ ও ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।

