Chia Seeds: চিয়া বীজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। অনেকেই এটি ওজন কমানোর জন্য মোক্ষম ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি চিয়া বীজ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ঘটতে পারে বিপদ? চিকিৎসকদের পারমর্শ মেনে চলাই ভালো।
Chia Seeds Benefits and Disadvantages: চিয়া বীজ খেয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারেন যদি সঠিক ভাবে না খান। এই প্রতিবেদনে তিনটি সাধারণ ভুল তুলে ধরা হল। শুকনো চিয়া বীজ সরাসরি খাওয়া, পর্যাপ্ত জল পান না করা এবং অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া। এই ভুলগুলি হজমের সমস্যা, শ্বাসরোধ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
চিয়া বীজ অতিরিক্ত খাওয়ার অপকার-
১. শুকনো চিয়া বীজ সরাসরি খাওয়া:
বিপদ: চিয়া বীজ তার ওজনের ১০ গুণ বেশি জল শোষণ করতে পারে। শুকনো বীজ সরাসরি খেলে এটি আপনার খাদ্যনালীতে ফুলে উঠতে পারে এবং শ্বাসরোধ বা হজমের গুরুতর অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
সমাধান: চিয়া বীজ খাওয়ার আগে অন্তত ১৫-৩০ মিনিট জল, দুধ বা অন্য কোনও তরলে ভিজিয়ে রাখুন। এটি জেলির মতো ঘন হয়ে যাবে এবং খাওয়া সহজ হবে।
২. পর্যাপ্ত জল পান না করা:
বিপদ: চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। পর্যাপ্ত জল ছাড়া এই বীজ খেলে তা হজমের সমস্যা যেমন ফোলা, বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্য ঘটাতে পারে।
সমাধান: চিয়া বীজ ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি, সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
৩. অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া:
বিপদ: অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া বীজ খেলে হজমের সমস্যা, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া (বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান), এবং রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়া (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে)।
সমাধান: পরিমিত পরিমাণে খান। বেশিরভাগ মানুষের জন্য প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ যথেষ্ট। অতিরিক্ত সেবন থেকে বিরত থাকুন।
বিশেষ সতর্কতা-
কিডনির সমস্যা: যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁদের চিয়া বীজ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এতে ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ওষুধের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া: যাঁরা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁদের চিয়া বীজ খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


