Conjunctivitis Disease: পুজো আসতে না আসতেই এখন কনজেনটিভাইটিস এর প্রকোপ দেখা দিতে থাকে প্রতিবছরই।দেখুন চিকিৎসকরা কি বলছেন এবং কি কি উপায় একটি নিরাময় করা সম্ভব।
Conjunctivitis Disease: চোখের ফ্লু, বা কনজেক্টিভাইটিস হল কনজাংটিভার একটি সাধারণ প্রদাহ, পরিষ্কার, আর্দ্র স্তর যা আপনার চোখের সাদা অংশ এবং আপনার চোখের পাতার ভেতরের পৃষ্ঠকে আবৃত করে। এই সূক্ষ্ম ঝিল্লি বিরক্তিকর এবং সংক্রমণ থেকে আপনার চোখ রক্ষা করতে সাহায্য করে। যখন এটি স্ফীত হয়ে যায়, তখন এটি লালভাব, চুলকানি, একটি তীব্র সংবেদন এবং অশ্রু উৎপাদন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন উপসর্গের কারণ হতে পারে। কনজেক্টিভাইটিস সাধারণত একটি গুরুতর অবস্থা নয় এবং সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিজেই পরিষ্কার হয়ে যায়। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে, এটি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
চোখের ফ্লু কীভাবে হয়?
চোখের ফ্লু বিভিন্ন কারণের ফলে হতে পারে যা কনজাংটিভাতে প্রদাহ বা সংক্রমণের দিকে পরিচালিত করে। এখানে প্রধান কারণ গুলি হলো:
* ভাইরাল সংক্রমণ : অ্যাডেনোভাইরাসগুলি ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ, প্রায়শই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বা সর্দির সাথে যুক্ত। ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস সাধারণত অত্যন্ত সংক্রামক এবং ভিড়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। অন্যান্য ভাইরাস, যেমন হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস বা ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস, এছাড়াও কনজেক্টিভাইটিস হতে পারে কিন্তু কম সাধারণ।
* ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন : ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস , স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা । এই ধরনের কনজেক্টিভাইটিস আরও গুরুতর উপসর্গের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেমন হলুদ বা সবুজ স্রাব, এবং প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
* অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া : অ্যালার্জিক কনজেক্টিভাইটিস ঘটে যখন ইমিউন সিস্টেম পরাগ, ধুলোর মাইট, পোষা প্রাণীর খুশকি বা ছাঁচের মতো অ্যালার্জেনের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়। লক্ষণগুলির মধ্যে প্রায়ই তীব্র চুলকানি, লালভাব এবং জলযুক্ত স্রাব অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ধরনের কনজেক্টিভাইটিস ছোঁয়াচে নয় এবং অ্যান্টিহিস্টামাইন এবং অ্যালার্জেন এড়িয়ে এটি পরিচালনা করা যেতে পারে।

* কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার : কন্টাক্ট লেন্স পরার সময় অনুপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রমণ হতে পারে। কেরাটাইটিসের মতো অবস্থা, যা কর্নিয়ার প্রদাহ, যদি লেন্সগুলি পরিষ্কার বা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হয় তবে ঘটতে পারে। কন্টাক্ট লেন্সের দীর্ঘায়িত পরিধান, বিশেষ করে রাতারাতি, কনজেক্টিভাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
* রাসায়নিক এক্সপোজার : গৃহস্থালী পরিষ্কারক, প্রসাধনী, বা সুইমিং পুলের জীবাণুনাশকগুলিতে পাওয়া রাসায়নিকগুলি রাসায়নিক কনজেক্টিভাইটিস হতে পারে। এটি প্রায়শই লালভাব, ছিঁড়ে যাওয়া এবং অস্বস্তির কারণ হয়।
চোখ ভালো রাখার উপায় :
১) এই বিষয়ে চক্ষু চিকিৎসক সাগরিকা চৌধুরী জানিয়েছেন, যদি মনে হয় চোখ কড়কড় করছে, বালি পড়েছে বা চোখ থেকে আঠালো তরল বার হচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চক্ষু চিকিৎসককে দেখাতে হবে।
২) ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্তের ব্যবহার করা জিনিস, যেমন রুমাল, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
৩) বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাইরে বেরোলে স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে রাখতে হবে।
৪) নিজের তোয়ালে, বালিশ বা প্রসাধনী অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করবেন না। বিশেষ করে অন্যের ব্যবহার করা কাজল, মাস্কারা, আইলাইনার ইত্যাদি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করবেন না।
৫) সংক্রমিত হলে টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ দেখা কমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাত ধুতে হবে বা স্যানিটাইজ়ার লাগাতে হবে। হাত না ধুয়ে নিজের চোখে বা মুখে হাত দেবেন না অথবা খাবার খাবেন না। রোগীকে ওষুধ দেওয়ার পরেও হাত ধুতে হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


