Tips to prevent cancer: ক্যান্সারের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা উদ্বেগের কারণ। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের মাধ্যমে এই মারণ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার রাখলে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব।

Tips to prevent cancer: মারণ রোগে আক্রান্ত হতে কোন দিক থেকেই পিছিয়ে নেই তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো। এটা প্রায় নিশ্চিত করেই এখন বলা যায় প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। সাম্প্রতিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ এই ক্যান্সার নামক মারণ রোগটি। যাকে রদ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের । দিনে দিনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যা যথেষ্টই উদ্বিগ্নতার কারণ হয়ে উঠছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করলে এই মারণ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যার পুরোটাই সঠিক খাদ্যাভাস ও সঠিক জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করছে। তারা জানাচ্ছেন রোজের খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু খাবার রাখলে এই রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় তাহলে রাখতে হবে এমনকিছু জিনিস যা ক্যান্সারের হওয়ার ঝুঁকিকে যথেষ্ট কমিয়ে দেবে।

ব্রকলি- ব্রকলি এমনই একটা সব্জি যাতে রয়েছে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ যা ক্যান্সার রোধ করতে যথেষ্ট ভুমিকা পালন করে। এই যৌগটি স্তন ক্যান্সার এবং প্রসটেড ক্যান্সারের কোষকে বাড়তে প্রতিহত করে। এছাড়া এই ক্রসিফেরাস সব্জিটি নিয়মিত খেলে কোলন ও মলদ্বার ক্যান্সারের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।

তৈলাক্ত মাছ- স্যামন, ম্যাকেরেল, এবং অ্যাঙ্কোভির মতো এমন কিছু তৈলাক্ত মাছ আছে যাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম এবং ওমেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। গবেষণায় পাওয়া গেছে এই ওমেগা- ৩ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।

আপেল- আপেল এমনই একটা ফল যা সমস্ত জায়গাই পাওয়া যায়। আপেলে পলিফেনল নামক এমন একটি যৌগ থাকে যা প্রদাহ, হৃদরোগ এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপেলের মধ্যে থাকা ফ্লোরেন্টিন পলিফেনল সুস্থ কোষের ক্ষতি না করেই স্তন ক্যান্সার কোষের বদ্ধি রোধ করতে পারে।

গাজর- পাকস্থলী, প্রসটেড এবং ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গাজর এক অব্যর্থ সব্জি। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে যে সকল ধূমপায়ীরা গাজর খান না তাদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি শতগুণ বেশি থাকে।

আঙুর- রেসভেরাট্রল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ত থাকে আঙুরে যা মানুষকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আঙুর এবং তার বীজে ফ্ল্যাভোনয়েড , ফেনলিক অ্যাসিড, অ্যান্থোসায়ানিন, প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন এবং ক্যাটেচিনের মতো উপাদান রয়েছে , যা ক্যান্সারের কোষকে বাড়তে দেয়না ।