রাতে উজ্জ্বল আলোয় ঘুমোলে সেক্ষেত্রে আসতে পারে হার্টের সমস্যা। ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক এর মত বিপদজনক রোগ। জেনে নিন কোন সময় সতর্ক হবেন। রইল বিশেষ টিপস।
রাতে উজ্জ্বল আলোতে ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, কারণ এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান ছন্দ-কে ব্যাহত করে এবং সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে, যা হৃদস্পন্দন ও ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এমনকি অল্প পরিমাণ আলোতেও ঘুমালে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণ হতে পারে।
* যেভাবে রাতের আলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়:
* সার্কাডিয়ান ছন্দ ব্যাহত হয়: রাতে আলোর সংস্পর্শে আসা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান ছন্দকে প্রভাবিত করে। এই ছন্দ ঠিক থাকলে বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে, কিন্তু আলো এই ছন্দকে বিঘ্নিত করে।
* শারীরিক প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত: রাতের বেলা উজ্জ্বল আলো গ্লুকোজ বিপাক এবং অন্যান্য শারীরিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
* সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয়তা: বেশি আলোতে ঘুমালে সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
* ঝুঁকি বৃদ্ধি: এই ধরনের ব্যাঘাতের ফলে হার্ট ফেইলিউর, স্ট্রোক এবং অ্যারিথমিয়ার মতো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
* নীল আলোর প্রভাব: ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো রাতে বিশেষভাবে ক্ষতিকর, কারণ এটি মনোযোগ ও মেজাজ বাড়ানোর জন্য দিনের বেলায় উপকারী হলেও রাতে সার্কাডিয়ান ছন্দকে সবচেয়ে বেশি বিঘ্নিত করে।
** কী কী করণীয়: রাতে ঘুমানোর সময় ঘর যথাসম্ভব অন্ধকার রাখুন। ঘুমানোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে হালকা এবং উষ্ণ আলো ব্যবহার করুন, যা কম নীল আলো নির্গত করে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি সম্ভব হয়, তাহলে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।


