শীতকালে চা কফি মানুষে শরীর গরম রাখার জন্য একটু বেশিই খান। কিন্তু যদি চা-কফি অতিরিক্ত মাত্রায় না খেয়ে তার জায়গায় কিছু ইমিউনিটি বাড়াবে এমন পানীয় খান তাহলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য সতেজ থাকবে এবং শরীরে ভেতর থেকে উষ্ণতা বজায় থাকবে।
শীতকালে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে হলে শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখাটা একান্তই জরুরী। সাধারণত চা অথবা কফির বাইরে এমন কিছু পানীয় আছে যা পান করলে পরে শরীরের তাপমাত্রা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়।
চা বা কফির পরিবর্তে শীতে শরীর গরম রাখতে হলুদের দুধ, আদা চা, মশলা চা, গরম মশলাযুক্ত পানীয়, এবং মধু মেশানো পানীয় পান করতে পারেন।
এই পানীয়গুলি শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা লাগা ও সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলির তালিকা ও বিস্তারিত আলোচনা হলো।
১) হলুদের দুধ: হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে শরীর গরম থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শীতকালে এটি একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়।
২)আদা চা: আদা শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি সর্দি-কাশির জন্য খুব উপকারী। আদা কুচি করে গরম জলে ফুটিয়ে চা বানিয়ে নিয়মিত পান করলে এটি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করে।
৩)মশলা চা: দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, এবং গোলমরিচ-এর মতো মশলা দিয়ে তৈরি চা শীতকালে শরীর গরম রাখতে দারুণ কাজ করে। এই মশলাগুলিতে থাকা উষ্ণতা প্রদানকারী বৈশিষ্ট্য শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখে।
৪) মধু: মধু সর্দি ও কাশি কমাতে দারুণ উপকারী। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে, তাই ঠান্ডা লাগলে গরম জলে বা গরম দুধে মধু মিশিয়ে পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
৫) জাফরান ও কিশমিশ: গরম দুধে জাফরান ও কিশমিশ মিশিয়ে খেলে শরীর গরম হয় এবং এটি একটি পুষ্টিকর পানীয়। এটি শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে খুবই কার্যকরী।
**** অন্যান্য পানীয়: গরম জল, ব্ল্যাক কফি, বা গ্রিন টি-এর মতো উষ্ণ পানীয়গুলিও শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করতে পারে। তবে, কফি নিয়মিত না খেয়ে এই স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলি বেছে নেওয়া শরীরের জন্য বেশি ভালো।


