সাধারণ স্তন ক্যানসারের যে সব উপসর্গ প্রকট হয়, তার থেকে এটি আলাদা। স্তনে কোনও বদলও সে ভাবে ধরা পড়ে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ‘ইনভেসিভ লোবিউলার কার্সিনোমা’।

ইনভেসিভ লোবিউলার কার্সিনোমা' হল এক বিরল এবং বিপজ্জনক স্তন ক্যানসার, যা সাধারণত ম্যামোগ্রামে ধরা পড়ে না কারণ এতে পিণ্ড তৈরি হয় না। এটি স্তনের দুধ উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলির (লোবিউল) আস্তরণের কোষ থেকে শুরু হয়, যা সহজেই অন্যান্য টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। এর লক্ষণগুলি সাধারণ স্তন ক্যানসারের থেকে ভিন্ন, যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা কঠিন করে তোলে।

* লোবিউলার কার্সিনোমা কী? এটি এক প্রকারের স্তন ক্যানসার, যা লোবিউলের (দুধ উৎপাদনকারী গ্রন্থি) মধ্যে শুরু হয়। সাধারণ স্তন ক্যানসারের মতো এতে স্পষ্ট পিণ্ড তৈরি হয় না, তাই ম্যামোগ্রামে সহজে ধরা পড়ে না। এটি স্তনের বিভিন্ন অংশ জুড়ে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা একে সনাক্ত করা আরও কঠিন করে তোলে।

* সাধারণ স্তন ক্যানসার থেকে এর পার্থক্য কী:

১) পিণ্ড: সাধারণ স্তন ক্যানসারে সাধারণত স্তনে পিণ্ড দেখা যায়, কিন্তু লোবিউলার কার্সিনোমার ক্ষেত্রে প্রায়শই কোনো পিণ্ড হয় না।

২) আকৃতির পরিবর্তন: এটি স্তনের গঠনে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটাতে পারে যা ম্যামোগ্রামে স্পষ্ট হয় না।

৩)অন্যান্য লক্ষণ: সাধারণ লক্ষণের পাশাপাশি, ত্বকের পরিবর্তন, স্তনের আকারের পরিবর্তন, বা স্তনবৃন্ত থেকে অস্বাভাবিক স্রাবও হতে পারে। কেন এটি সনাক্ত করা কঠিন সাধারণ ম্যামোগ্রাম মূলত পিণ্ড সনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। লোবিউলার কার্সিনোমার ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট পিণ্ড না থাকায়, এটি প্রচলিত স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে ধরা পড়ে না। এটি স্তনের টিস্যুর মধ্যে বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ম্যামোগ্রামে “ছড়িয়ে পড়া” হিসেবে দেখা যেতে পারে।

* সতর্কতা এবং করণীয় স্তন ক্যানসারের কোনো লক্ষণ দেখা গেলে, তা সাধারণ স্তন ক্যানসার না হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চিকিৎসককে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির কারণ এবং পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করা জরুরি। যদি ম্যামোগ্রাম স্বাভাবিক দেখায় কিন্তু স্তনে কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন বা ব্যথা থাকে, তবে আরো উন্নত পরীক্ষার (যেমন MRI) প্রয়োজন হতে পারে।