যারা রান্নাঘর সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করেন, তাদের মধ্যে কিছু বিশেষ আকর্ষণীয় গুণ থাকে। এই অভ্যাসটি তাদের দায়িত্বশীল, নিয়মানুবর্তী এবং রুটিন মেনে চলার মানসিকতার পরিচয় দেয়। অসমাপ্ত কাজ ফেলে না রাখার এই প্রবণতা তাদের মানসিক চাপ থেকেও মুক্ত রাখে।
রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে কে না পছন্দ করেন। কথায় আছে লক্ষীর বাস রান্নাঘরে। তাই পুরনো দিনের মানুষ হোক বা আজকালকার দিনের রমণীরা রান্নাঘর টিপটাপ রাখতে সকলেই পছন্দ করেন। অনেকে আছেন রান্না করতে করতে চটজলদি রান্নাঘর পরিষ্কার করে নেন। আবার অনেকেই রান্নাবান্না শেষ করার পরেই রান্নার যাবতীয় বাসন-কোসন মেজে ফেলেন। বা সারাদিনের রান্না বান্নার পরে রান্নাঘর ঝা চকচকে করে পরিষ্কার করে দেন। জানেন কি এই ধরনের মানুষের বিশেষ কিছু আকর্ষণীয় ভালো গুণ তাদের মধ্যে থাকে। তাহলে জানা যাক যারা রান্নাঘর নোংরা রাখতে পছন্দ করেন না বা রান্নাঘরে রান্নার করার মধ্যে বা সঙ্গে সঙ্গেই পরিষ্কার করে দেন তাদের গুণাগুণ কি কি হতে পারে!
* যাঁরা খাওয়াদাওয়া শেষ হতে না হতেই বাসন মাজেন। তারা বাসন পরিষ্কারকেও খাওয়ার অংশ মনে করেন। যে কোনও কাজই শেষ না করা অবধি এরা শান্তি পান না। এদের কাছে বাসন না মাজা-ধোওয়া অবধি খাওয়া দাওয়া শেষ হয় না। আসলে অসমাপ্ত কাজ, একটা চাপা টেনশন তৈরি করে। এদের ক্ষেত্রে সেসবের সমস্যা থাকে না।
* এরা দায়িত্ব ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন। অন্যের কাঁধে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া এদের না-পসন্দ! নোংরা বাসনপত্র রেখে দিলে তা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া বলেই মনে করেন, তাই সময়ের কাজ সময়ে সেরে ফেলেন।
* এটা রুটিন মেলে চলতে ভালোবাসেন। খাওয়াদাওয়া শেষেই বাসন পরিষ্কার করাটাকেও এরা দৈনিক রুটিনের মধ্যেই মনে করেন।
* নিয়ম মেনে চলতে ভালোবাসেন এরা। খাওয়াদাওয়ার পর বিশ্রাম নিতেই ভালোবাসেন প্রায় সকলে। যারা বাসনপত্র পরিষ্কার না করে বিশ্রাম নেন না, তারা অত্যন্ত নিয়মানুবর্তী।
* খাওয়া শেষেই বাসন পরিষ্কার করা শুধুই সাফাই নয়, বরং এটা একটা অভ্যাস।
* নোংরা বাসনপত্র কিছুটা হলে স্ট্রেস বাড়ায়। যে কোনও কাজ ফেলে রাখা মানেই, মাথায় ঘুরতে থাকে তা। এরা এসব ঝঞ্ঝাট একেবারেই পছন্দ করেন না। যা আদতে একটা ভীষণ ভালো গুণ।


