রোজ হাঁটার অভ্যাস আদৌ উপকারী! কি বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন
রোজ হাঁটার অভ্যাস আদৌ উপকারী! কি বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন

আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখা সবকিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সুস্থ জীবনের ভিত্তি হলো সক্রিয় জীবনযাপন। অলসতা পরিহার করে সারাদিন সক্রিয় থাকা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যক। পূর্ণ শস্য, শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এটি আপনার শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের প্রকোপ কমাতে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো ঘুম, ব্যায়াম, মোবাইল বা টিভির স্ক্রিন টাইম কমানো আপনার দৈনন্দিন জীবনে থাকা উচিত এমন ভালো অভ্যাস। এগুলি হলো সাধারণভাবে আপনার পালনীয় অভ্যাস। এই পোস্টে সুস্থ জীবনের জন্য অবশ্যই পালনীয় তিনটি অভ্যাস সম্পর্কে জানুন।
আপনার খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকা নিশ্চিত করতে হবে। আপনি প্রতিদিন যে খাবারগুলি খান তাতে প্রোটিন থাকলে শরীর শক্তিশালী হয়। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন এক ঘন্টা হাঁটলে হাড় শক্তিশালী হয়। আপনার বিপাক বৃদ্ধি পেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে হাঁটাচলা সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমে এবং মন ভালো থাকে। এর ফলে তরুণ দেখাতে পারেন।
শরীর পর্যাপ্ত জল না পেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। এছাড়াও লিভারের সমস্যা, কিডনিতে পাথর ইত্যাদি রোগও হতে পারে। আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করলে আপনার ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যাবে।
দীর্ঘজীবনের জন্য স্বাস্থ্যই হলো মূল বিষয়। এর জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পরিমিত খাওয়া জরুরি। ফলমূল, শস্য, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার, ড্রাই ফ্রুটস, বীজ ইত্যাদি নিয়মিত খেতে পারেন। এতে আপনার বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়িয়ে কম ক্যালোরির স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া রোগের ঝুঁকি কমাবে। অর্থাৎ শাকসবজি, ডিম, ফল, অল্প ভাত ইত্যাদি সুষমভাবে খেতে হবে।
যতই স্বাস্থ্যকর খাবার হোক না কেন, পরিমিত খেলেই কেবল উপকার পাওয়া যাবে। আপনি যদি রুটি ভেবে ১০ টি খান তাহলে তা ভুল। রুটি বা ভাত উভয়তেই কার্বোহাইড্রেট আছে। তাই আপনার ওজন এবং জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিমিত এবং কম খান। ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মাংস খাওয়া উচিত নয়।

