নবজাতকের যত্ন নিতে কী করবেন, কী করবেন না! রইল জরুরি টিপস

বর্তমানে একক পরিবার বেশি হওয়ার কারণে, আজকের দিনে সদ্যোজাত শিশুকে কীভাবে যত্ন নিতে হয়, তা অনেক নতুন বাবা-মা জানেন না। ফলে, তাঁরা অজান্তেই শিশুর যত্নে কিছু ভুল করে ফেলেন।

আসলে, সন্তান মানুষ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। বিশেষ করে সদ্যোজাত শিশুদের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। তাই মা এবং বাবা উভয়েরই শিশুর যত্নে দায়িত্ব নেওয়া উচিত। যেমন, ডায়াপার পরিবর্তন করা, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কাঁদলে শান্ত করে ঘুম পাড়ানো ইত্যাদি কাজে বাবারও অংশ নেওয়া উচিত। তাহলে, আসুন জেনে নেওয়া যাক, নতুন বাবা-মায়েরা সদ্যোজাত শিশুদের যত্নে কী কী করতে পারেন এবং কী কী করা উচিত নয়।

শিশুর যত্নের জন্য টিপস:

১. সদ্যোজাত শিশুদের খুব টাইট পোশাক পরানো উচিত নয়। বিশেষ করে তাদের পোশাকে বোতাম বা হুক থাকা উচিত নয়। তাদের জন্য আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। মনে রাখবেন, বাচ্চার পোশাকে যেন ত্বকে কোনো চাপ না লাগে।

২. সাধারণত, সদ্যোজাত শিশুকে দেখতে বন্ধু এবং আত্মীয়রা বাড়িতে আসেন। সবার কাছে বাচ্চাকে দেবেন না। কারণ অনেকের হাতের স্পর্শ শিশুর শরীরে লাগলে, তাদের শরীরের তাপমাত্রা শিশুদের সহ্য নাও হতে পারে। এর ফলে শিশুর শরীরে অনেক সংক্রমণ হতে পারে। তাই তাদের একটু দূরে থেকে দেখতে বলুন। প্রয়োজনে এটা কঠোরভাবে বললেও কোনো ক্ষতি নেই।

৩. শিশুর মা এবং বাবা দুজনেই বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন।

৪. সদ্যোজাত শিশুরা অনেকক্ষণ ঘুমায়। কিন্তু বাচ্চাকে বেশিক্ষণ ঘুমাতে দেবেন না। এটা ভুল। 

৫. ঘুমন্ত শিশুকে কখনও তুলে দুধ খাওয়াবেন না। শিশু ঘুম থেকে উঠলে দুধ দিতে পারেন। বাচ্চা জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ দিনে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়ান।

৬. অনেকে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পরেই দোলনায় শুইয়ে দেন। কিন্তু এটা ভুল। বরং, বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর আপনার কাঁধে নিয়ে পিঠ চাপড়ে দিন এবং ঢেঁকুর ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি ঢেঁকুর না ওঠে, তাহলে শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে বা বমি করতে পারে।

৭. বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পর মুখ না মুছে ফেলে, নরম ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে দিন।

৮. শিশুকে এক বছর বয়স পর্যন্ত অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কারণ বুকের দুধেই শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। গরুর দুধ, প্যাকেটজাত দুধ বা সেরেল্যাক জাতীয় খাবার দেবেন না।

৯. শিশুর শরীর বেশি গরম হলে, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করান। তা না হলে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে।

১০. বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর সময় এবং স্নান করানোর সময় খুব সতর্ক থাকুন। কারণ শিশুর মাথা তিন মাস পর পর্যন্ত নরম থাকে। তাই শিশুকে সামলানোর সময় খুব সতর্ক থাকতে হবে। 

নোট : নবজাতক শিশু হোক বা বড়, বাবা-মা হিসেবে আপনার সন্তানের সামনে কখনও ঝগড়া করা উচিত নয়। এটি শিশুর মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।