Office Tips: ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাদার জীবনের মাঝে সীমারেখা থাকা উচিত। সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকলেও কিছু বিষয় আছে যা কখনোই কর্মক্ষেত্রে ফাঁস করা উচিত নয়। মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো। 

Office Tips: কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীরা অনেক সময় পরিবারের মতোই কাছের হয়ে ওঠেন। আমরা প্রায়ই নিজের ব্যক্তিগত কথা, মতামত, ক্ষোভ—সবই অকপটে ভাগ করে নিই তাদের সঙ্গে। কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় ভুল হতে পারে আপনার কর্মজীবনে।

অফিস কাজের জায়গা, তাই সম্পর্ক যতই ভালো হোক, কিছু কথা ভুলেও বলা উচিত নয় সেই পরিবেশে। ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবন সবসময়ই আলাদা রাখা উচিত।

এই প্রতিবেদনে রইল এমন ১০টি বিষয়, যেগুলো কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করলে আপনার ভাবমূর্তি, সম্পর্ক এবং ক্যারিয়ার—সবই ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

অফিসে ভুলেও বলবেন না এই ১০টি কথা:

১। ব্যক্তিগত পারিবারিক সমস্যা

আপনার বিচ্ছেদ, আর্থিক টানাপোড়েন, পরিবারের ঝগড়া বা সম্পর্কের সমস্যা—এসব শেয়ার করলে আপনি সহানুভূতির বদলে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে যেতে পারেন।

২। বস বা সহকর্মীদের নামে অভিযোগ

কাউকে পছন্দ না হলে সেটা মনের মধ্যেই রাখুন। আপনার অভিযোগ বা গসিপ একদিন আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হতে পারে।

৩। বেতন সংক্রান্ত তথ্য

নিজের বেতন নিয়ে কথা বলা বা অন্যের বেতন জানার চেষ্টা করা পেশাদার আচরণ নয়। এতে অফিসে অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা ও হিংসা জন্ম নিতে পারে।

৪। চাকরি পরিবর্তনের পরিকল্পনা

আপনি হয়তো চাকরি ছাড়তে চাইছেন বা নতুন কিছু ভাবছেন—এই তথ্য শুধু আপনার ব্যক্তিগত থাকা উচিত। আগে জানালে সুযোগসন্ধানীরা তা ব্যবহার করতে পারে।

৫। কাজ নিয়ে বিরক্তি বা হতাশা

সহকর্মীদের কাছে কাজ নিয়ে হতাশা জানালে আপনি একজন নেতিবাচক কর্মী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে প্রমোশন বা প্রজেক্টে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কাজ নিয়ে সমস্যা হলে, যাকে বললে সমাধান মিলবে, তাকেই বলুন।

৬। সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত মেলামেশা

সহকর্মী বা HR-এর ফেসবুক রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে ব্যক্তিগত জীবনের আপডেট দিতে বাধ্য নন। ছবি বা স্ট্যাটাস নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি বা গুজবও ছড়াতে পারে। একান্ত প্রয়োজনে তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় রাখতেই হয়, সেক্ষেত্রে কিছু পোস্ট করার আগে সতর্ক হন।

৭। গোপন কথা শেয়ার করা

কাউকে খুব কাছের ভেবে নিজের গোপন কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে। একদিন সেই কথাই আপনার প্রতিপক্ষের অস্ত্র হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৮। রাজনৈতিক মতামত

অফিসে ব্যক্তিগত মতাদর্শ নিয়ে আলোচনা করলে বিভাজন তৈরি হয়। রাজনীতি ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেটা পেশাদার জগতে না আনাই ভালো।

৯। অতিরিক্ত আয়ের তথ্য

ফ্রিল্যান্সিং বা সাইড-ইনকাম করলেও তা অফিসে না বলাই ভালো। কোম্পানির নীতির বিরুদ্ধে গেলে চাকরি খারাপ হতে পারে।

১০। অফিসের গোপনীয় তথ্য

আপনাকে যদি কোনও গোপন প্রজেক্ট বা তথ্য দেওয়া হয়, তবে তা যেন গোপনই থাকে। অফিসে “দেয়ালেরও কান” থাকে, ভুলেও ফাঁস করবেন না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।