সংক্ষিপ্ত

  • নাশকতা নয়, চাকরির দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
  • বিধানসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে নতুন আতঙ্ক
  • নিজেদের প্রাক্তন মাওবাদী বলে চাকরির দাবি
  • চাকরি সহ সরকারি সুযোগের দাবি তাঁদের

শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই নতুন নতুন আন্দোলনের নতুন রাস্তা বেরিয়ে আসছে জঙ্গলমহল থেকে। মাওবাদীদের হামলায় নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফেরাদেরও অনেকের চাকরি ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, জঙ্গলমহল সফরেও খড়গপুরে প্রশাসনির বৈঠকেও মাওবাদী থেকে মূলস্রোতে ফেরাদের জন্য আর্থিক প্য়াকেজ বিলি করেছেন মমতা। এই অবস্থায় নিজেদের মাওবাদী তকমা দিলেন জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁরা দাবি করলেন তাঁরাও মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। তাই তাঁদের জন্যেও চাকরির ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার। তা নাহলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনেকে।

আরও পড়ুন-করোনা আবহে নয়া উদ্য়োগ, প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবায় 'টোটো অ্যাম্বুল্যান্স'
  
আন্দোলনের সুর চড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর সদর ব্লকের ডুমুরকোটা গ্রামে। জানাগেছে, ওই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ভাবনা শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্য়ে কেউ যুব, কেউ প্রৌঢ়। তাঁরা নিজেদের পুরনো মাওবাদী বলে দাবি করছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের মাওবাদী লিঙ্কম্যান বলেও দাবি তুলেছেন। কেউ কেউ আবার মাওবাদী নাশকতার অভিযোগে  জেল খেটেছেন, মাওবাদী সংযোগে অনেকের বিরুদ্ধে চার থেকে পাঁচটি করে মালা ঝুলছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। তাঁদের অনেককে মূলস্রোতে ফেরা মাওবাদীতের তালিকায় রেখে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

ডুমুরকোটা শীর্ষি গ্রামের বাসিন্দা তারাপদ মাহাতো নামে এক ব্যক্তি বলেন, ''মাওবাদী পর্বে আমরা অনেকেই নাশকতামূলক কাজে যুক্ত থেকেছি। আমাদের বিরুদ্ধে এখনও অনেক মামলা ঝুলছে। সরকারে আসার আগে আমাজের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আমরা এখনও কোনও চাকরি বা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত''। 

আরও পড়ুন-বাবাকে বাঁচাতে দুই ভাইয়ের ঝুঁকি, গ্রামবাসীদের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরও মর্মান্তিক মৃত্যু

মাওবাদী নাশকতায় জড়িত, নিখোঁজদের পরিবারকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁরাও চাকরির দাবিতে সরব হয়েছেন। চাকরি না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডুমুরকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।