Australia vs England: ক্রিজে জেমিয়ে স্মিথ ২ রানে এবং উইল জ্যাকস ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। শেষদিন, জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ২২৮ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার দরকার মাত্র ৪টি উইকেট।
Australia vs England: ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টেও জয়ের খুব কাছে অস্ট্রেলিয়া। রীতিমতো চালকের আসনে রয়েছে তারা। চতুর্থ দিনের শেষে, দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান।
অ্যাডিলেডে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। যে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (australia vs england)। যদিও ব্যাট করতে নেমে প্রাথমিকভাবে বেকায়দায় পড়েন তারা (aus vs eng)।
চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া
ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ফিরে যান মাত্র ১০ রানে এবং জ্যাক ওয়েদারল্ডের ঝুলিতেও মাত্র ১৮ রান। স্বাভাবিকভাবেই, বিপাকে পড়ে যায় অজি ব্রিগেড। এরপর নেমে মার্নাস ল্যাবুশাংও করেন মাত্র ১৯ রান এবং ক্যামেরন গ্রিন কার্যত, খালি হাতে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা লাগান। বরং, উসমান খাওয়াজা বেশ ভালো লড়াই করেন। তাঁর সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ৮২ রান।
কিন্তু দলের কঠিন সময়ে হাল ধরলেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারে। রীতিমতো ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থেকে ২২ গজে ১০৬ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। সেইসঙ্গে, জশ ইংলিস করেন ৩২ রান। অপরদিকে, অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ঝুলিতে ১৩ রান।
অপরদিকে, মিচেল স্টার্ক শেষদিকে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ৫৪ রান যোগ করেন। নাথান লিয়নের সংগ্রহে ৯ রান এবং স্কট বোল্যান্ড করেন ১৪ রান। শেষপর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ৩৭১ রানে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৫ উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার। অন্যদিকে, ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ব্রাইডন কার্স এবং উইল জ্যাকস। ১টি উইকেট জশ টং-এর দখলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ২৮৬ রানে।
ওপেনার জ্যাক ক্রলে করেন মাত্র ৯ রান, বেন ডাকেটের ঝুলিতে ২৯ রান এবং অলি পোপের সংগ্রহে মাত্র ৩ রান। জো রুটও সেইভাবে ভরসা দিতে পারলেন না ইংল্যান্ডকে। তিনি করেন মাত্র ১৯ রান। তবে হ্যারি ব্রুক এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস লড়াকু ইনিংস উপহার দেন। ব্রুকের ঝুলিতে ৪৫ রান এবং স্টোকস করেন গুরুত্বপূর্ণ ৮৩ রান। এছাড়া জেমিয়ে স্মিথ ২২ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।
ওপেনার ট্র্যাভিস হেড দুরন্ত সেঞ্চুরি উপহার দেন
সেইসঙ্গে, উইল জ্যাকস ৬ রান করে আউট হন। বরং, জোফ্রা আর্চারের কথা বলতেই হয়। বল হাতে ইংল্যান্ডকে নির্ভরতা দেওয়ার পর, ব্যাট হাতেও শেষদিকে নেমে বেশ ভালো খেলেন তিনি। এই তারকার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। ব্রাইডন কার্স কোনও রান করতে পারেননি। অন্যদিকে, জশ টং করেন ৭ রান।
ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৮৬ রান। অজিদের হয়ে ৩টি করে উইকেট পান অধিনায়ক অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং স্কট বোল্যান্ড। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন নাথান লিয়ন এবং ১টি করে উইকেট মিচেল স্টার্ক এবং ক্যামেরন গ্রিনের দখলে।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া স্কোর দাঁড়ায় ৩৪৯ রান। নিঃসন্দেহে বড় স্কোর। দলের ওপেনার ট্র্যাভিস হেড দুরন্ত সেঞ্চুরি উপহার দেন। তাঁর সংগ্রহে ১৭০ রান।তবে জ্যাক ওয়েদারল্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। সংগ্রহে মাত্র ১ রান। মার্নাস ল্যাবুশাং-এর ঝুলিতে ১৩ রান, উসমান খাওয়াজার সংগ্রহে ৪০ রান এবং ক্যামেরন গ্রিন করেন ৭ রান। অন্যদিকে, অ্যালেক্স ক্যারের ঝুলিতে ৭২ রান।
জয় কি সময়ের অপেক্ষা?
জশ ইংলিস করেন ১০ রান, অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সংগ্রহে ৬ রান, এবং স্কট বোল্যান্ড ১ রান যোগ করেন। মিচেল স্টার্ক ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে এই ইনিংসে ৪ উইকেট নেন জশ টং। ৩টি উইকেট পান ব্রাইডন কার্স। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জোফ্রা আর্চার, উইল জ্যাকস এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে, চরম বিপাকে পড়েছে ইংল্যান্ড। ইতিমধ্যেই ৬টি উইকেটের পতন হয়েছে তাদের। ওপেনার ৮৫ রান করলেও আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ব্যর্থ হন। মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। এছাড়া অলি পোপ করেন ১৭ রান, জো রুটের ঝুলিতে ৩৯ রান, হ্যারি ব্রুকের সংগ্রহে ৩০ রান এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস মাত্র ৫ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।
ফলে, বোঝাই যাচ্ছে যে, বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মিডল অর্ডারে যে দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং-এর প্রয়োজনীয়তা ছিল, সেইদিক দিয়ে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। চতুর্থ দিনের শেষে, দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান।
ক্রিজে জেমিয়ে স্মিথ ২ রানে এবং উইল জ্যাকস ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। শেষদিন, জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ২২৮ রান। আর অস্ট্রেলিয়ার দরকার মাত্র ৪টি উইকেট।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।