সংক্ষিপ্ত

গত রবিবার দিল্লি পুলিশ যেভাবে কুস্তিগীরদের বাধা দিয়েছে, নিগ্রহ করেছে, সারা দেশ সেই ঘটনার নিন্দায় সরব। এবার প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও এই ঘটনায় সরব হলেন।

কুস্তিগীরদের আন্দোলনের ব্যাপারে ক্রিকেটাররা মুখ না খোলায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা করা হচ্ছিল। এই সমালোচনার মুখে শেষপর্যন্ত শুক্রবার একযোগে বিবৃতি জারি করে কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। রবিবার যেভাবে জোর করে যন্তর মন্তর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগট, বজরং পুনিয়াদের, সেই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কপিল দেব নিখাঞ্জ, সুনীল গাভাসকর, রজার বিনিরা। তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের চ্যাম্পিয়ন বক্সারদের যেভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে, সেই ছবি দেখে আমরা অত্যন্ত বিচলিত ও পীড়িত।’ দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ক্রিকেটাররা পাশে দাঁড়ানোয় কুস্তিগীরদের আন্দোলন নতুন মাত্রা পেল।

এর আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ান একমাত্র অনিল কুম্বলে। এবার বিশ্বকাপজয়ীরাও সাক্ষী, ভিনেশদের সমর্থন করলেন। কপিল-গাভাসকররা বলেছেন, ‘পদক জিততে বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম, আত্মত্যাগ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানসিকতা, চরিত্রের দৃঢ়তা প্রয়োজন। এই পদক শুধু তাঁদেরই না, সারা দেশের গর্ব ও আনন্দের কারণ। কুস্তিগীররা কঠোর পরিশ্রম করে পাওয়া পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার কথা ভাবছেন। সে কথা শুনে আমরা আরও বেশি উদ্বিগ্ন। কুস্তিগীরদের কাছে আমাদের আর্জি, এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না। আশা করি তাঁদের সমস্যার কথা শোনা হবে এবং দ্রুত সমাধানও করা হবে। দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন কপিল, গাভাসকর, বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি বিনি, রবি শাস্ত্রী, মহিন্দর অমরনাথ, দিলীপ ভেঙ্গসরকার, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, কীর্তি আজাদ, সৈয়দ কিরমানি, মদন লাল, সন্দীপ পাতিল, বলবিন্দর সান্ধু, যশপাল শর্মা ও সুনীল ভালসন। তাঁদের মধ্যে কপিল, গাভাসকর ও বিনি বিবৃতি জারি করে কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন। তাঁরা ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন। 

২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে অবস্থানে ছিলেন কুস্তিগীররা। রবিবার নতুন সংসদ ভবনের বাইরে 'মহিলা সম্মান মহা পঞ্চায়েত'-এ যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় সাক্ষী, ভিনেশদের। এরপর মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে যান কুস্তিগীররা। তাঁরা গঙ্গায় পদক বিসর্জন দিতে যাচ্ছিলেন। তবে শেষমুহূর্তে তাঁদের আটকান ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সভাপতি নরেশ টিকাইত। তিনি কুস্তিগীরদের কাছ থেকে ৫ দিন চেয়ে নেন। দেশজুড়ে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত।

আরও পড়ুন-

অনুমতি দিল না প্রশাসন, অযোধ্যায় প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাতিল ব্রিজভূষণের

কুস্তিগীরদের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দরবারে যাবেন, জানালেন রাকেশ টিকাইত

আর্থিক সমস্যায় চিকিৎসা করাতে পারছেন না, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি পিয়ালির